Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > খুলনা

ডুমুরিয়ায় বসে মানুষ বিক্রির হাট 

গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া (খুলনা) 

ডুমুরিয়ায় বসে মানুষ বিক্রির হাট 

মানুষ তাঁদের নানা রকম প্রয়োজন মেটাতে হাট তৈরি করেছে। যেখানে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, দ্রব্য, এমনকি ভোগ বা পালনের জন্য ওঠে পশুপাখিসহ বিভিন্ন প্রাণী। কিন্তু এমনও হাট তৈরি হয়েছে, যেখানে মানুষ নিজেই পণ্য হিসেবে আসেন। কাজের ধরন ও দিন অনুযায়ী টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে একেকজনের কাজে চলে যান। চলে মানুষের শ্রম কেনা-বেচা। 

খুলনার ডুমুরিয়ায় কালীবাড়ি মোড় এলাকায় ভোর থেকে শুরু করে সারা দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মতো বসে এই মানুষের শ্রম বেচার হাট। সপ্তাহে দুদিন (শুক্র ও সোমবার) বসে এই হাট। শারীরিক সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁদের ভাড়া করা হয় এক দিন, দুই দিন, এক সপ্তাহসহ বিভিন্ন সময়ের জন্য। 

জানা যায়, অভাবের তাড়নায় জীবন চালাতেই মানুষগুলো এভাবে হাটে ওঠেন। পরিবারের খাবার জোগানোর জন্য, নিজেদের শ্রম বেচতে এভাবে সপ্তাহে দুদিন হাটে আসেন তাঁরা। বিভিন্ন চুক্তিতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিক্রি হন তাঁরা। সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা জেলার মানুষ এ হাটে বিক্রি হন। 

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিবছরের মতো এ বছরও বসেছে শ্রমিকের হাট। গতকাল সোমবার দুপুরে ডুমুরিয়া সদরের কালীবাড়িতে অভাবী এসব শ্রমিকেরা মজুরি বনিবনা হলে মহাজন কৃষকদের পিছু ধরে চলে যাচ্ছেন তাঁদের বাড়ি।  এসব শ্রমিক দিনভিত্তিক কিংবা সাপ্তাহিক চুক্তিতে কাজে যোগ দিচ্ছেন। চুক্তি অনুযায়ী দিনভিত্তিক ৪৫০ টাকা ও সাপ্তাহিক ২৮০০-৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে শ্রমিকেরা। 

আরও দেখা যায়, মহাজন কৃষকদের সঙ্গে দরদামে আলোচনার পর শ্রমিকেরা তাঁদের দৈনন্দিন ব্যবহারের কাপড়চোপড়ের পুঁটলি, ধান কাটার কাস্তে নিয়ে পিছু পিছু যাচ্ছেন তাঁদের বাড়িতে। তবে শ্রম হাটে শ্রমিক বেচাকেনার বিষয়ে দরদাম নির্ভর করে বয়সের ওপর। শারীরিকভাবে দুর্বল ও বয়স্কদের দাম যুবকদের তুলনায় কম। 

কয়রা থেকে আসা শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি গত তিন দিন ধরে ডুমুরিয়ায় এসেছি। এ কদিন কেউ কাজে নেয়নি। তবে আজ কাজে যাচ্ছি। গত বছর এ মৌসুমে শ্রমিকদের মজুরি একটু কম ছিল। এ বছর মজুরি অনেকটাই বেড়ে গেছে। মাসখানেক কাজ করতে পারলে বাড়িতে অনেক টাকাপয়সা নিয়ে যেতে পারব ইনশা আল্লাহ।’ 
 
মনিরামপুরের ইকবাল হোসেন নামে আরও এক শ্রমিক বলেন, ‘দেশে কাজ নেই। তাই হাটে বিক্রি হতে এসেছি। বিক্রি হওয়ার অপেক্ষায় আছি। মালিকের সঙ্গে চুক্তি হলে তার সঙ্গে চলে যাব।’ 

উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নের শিবনগর এলাকার কৃষক রিপন মণ্ডল বলেন, ‘আমার ৩০ বিঘা জমির ধান কাটতে শ্রমিক নিতে এসেছি। ১২ জন শ্রমিকের সাথে কথা হয়েছে সাপ্তাহিক ৩ হাজার টাকা দরে। আরও কয়েকজনকে নিতে পারলে তাঁদের নিয়ে চলে যাব।’ 

ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। প্রতিবছর দুই মৌসুমে জেলার বাইরে থেকে কিছু অভাবী মানুষ ডুমুরিয়া এলাকায় আসেন শ্রম বিক্রি করতে। অন্য বছরে তুলনায় এ বছর শ্রমিকের বাজারও ভালো। 

ঝিনাইদহে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি, চালককে কুপিয়ে মোটরসাইকেল ছিনতাই

বদনাম ঘোচাতে কঠোর, তবু থামছে না দখল

গ্যাস পাইপলাইন রুট পরিবর্তনের প্রতিবাদ, খুলনা অচল কর্মসূচির হুমকি

কুমিল্লায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৬

‘কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে’

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: চার আসামি কারাগারে

দাম না পেয়ে খালে ফেলা হলো পাকা টমেটো

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: ভগ্নিপতিসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা

ভিজিএফের কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নেতা নিহত

চৌগাছায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালাল ছেলে