বাড়ির পাশের আমগাছ থেকে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারসহ স্থানীয়দের দাবি শিশুটি আত্মহত্যা করেছে। তবে পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
আজ শনিবার সকালে খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলায় পান তিতা (হাওর) নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
মৃত শিশুর নাম মোছা. মুন্নি আক্তার (১২)। নিহত মুন্নি আক্তার একই এলাকার মোশারফ শেখের মেয়ে। সে পান তিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ৯টার সময় শিশুকে বাড়িতে না পেয়ে তার সৎ মা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। পরে আশপাশের লোকজন সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পাশে জুলু মোল্যার বাগানে আম গাছের সঙ্গে নিজের ওড়না গলায় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তেরখাদা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে শিশুটি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল এবং এর আগে সে কাউকে কিছু না বলে বিভিন্ন খানে চলে যেত বলে জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে এবং সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।