প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে খুলনা বিভাগের মধ্যে একমাত্র কৃষক সেবাকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২০ সালে এই সেবাকেন্দ্রের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়। সেই থেকে এই অঞ্চলের কৃষকেরা ঘরে বসেই কৃষিসেবা পাচ্ছেন। কৃষকদের প্রশিক্ষণের জন্য সেখানে একটি ট্রেনিং সেন্টারও খোলা হয়েছে।
কৃষকেরা জানান, ডুমুরিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যিক নগরী চুকনগরে তিনতলা ভবনবিশিষ্ট এই সেবাকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এটি চুকনগর শহরের আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে এবং ঐতিহ্যবাহী রয়েল স্পোর্টিং মাঠের সন্নিকটে নিরিবিলি পরিবেশে নির্মিত হয়েছে। এতে এলাকার হাজার হাজার কৃষক ঘরে বসে কৃষিসেবা পাচ্ছেন।
জানা যায়, ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সেবা কেন্দ্র স্থাপন ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ পাইলট প্রকল্পের আওতাধীন বাস্তবায়নকারী সংস্থা এলজিইডির সহযোগিতায় এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অর্থায়নে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কৃষি গবেষণাকেন্দ্রটির নির্মাণকাজ করেন। এটি ডুমুরিয়ায় নির্মিত হওয়ায় এই অঞ্চলের কৃষকেরা কৃষিভিত্তিক সব ধরনের সেবা পাচ্ছেন। কৃষকদের প্রশিক্ষণের জন্য সেখানে একটি ট্রেনিং সেন্টারও খোলা হয়েছে। এই ট্রেনিং সেন্টারে কৃষকদের ফ্রি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষ করে ফসলে পোকামাকড় ধরলে তৎক্ষণাৎ এই কেন্দ্র থেকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সরেজমিনে গিয়ে বিনা খরচে সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন। মাটির উর্বরতা বা মাটির মান নিয়ে কোনো সমস্যা হলে পরীক্ষামূলকভাবে তার সঠিক সমাধান করে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আটলিয়া ইউনিয়নের তিনজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেবা দেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক অফিসে থাকেন। প্রয়োজন হলে সরেজমিন মাঠে গিয়ে সব ধরনের সমস্যার সমাধান করেন। এক কথায় এই কৃষি গবেষণাকেন্দ্রের কারণে কৃষকেরা মাঠে বসেই সব ধরনের সেবা পাচ্ছেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দীন বলেন, বহু প্রতীক্ষার পর ডুমুরিয়ার চুকনগরে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নির্মিত হওয়ায় এই অঞ্চলের কৃষকদের সব ধরনের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। মাঠে বসেই হাতেনাতে কৃষকেরা সব ধরনের সেবা পাচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, উপজেলার কৃষকদের সব ধরনের কৃষিমূলক সেবা গবেষণাকেন্দ্র থেকে দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সেখানে একটি ট্রেনিং সেন্টার খোলা হয়েছে।