অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা দুই সহোদর ভাইকে গলা কেটে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে একটি চাকু খুঁজতে অভয়নগরের ভৈরব নদে নেমেছে মাগুরা পুলিশ। আজ সোমবার সকালে উপজেলার ভৈরব ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় ভৈরব নদে নৌকায় ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল নিয়ে নদে যায় পুলিশের একটি দল। তবে দুই-তিন ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও সেই অস্ত্রের সন্ধান মেলেনি।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ বলছে, গত বছর ৩০ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে সবুজ ও হৃদয়কে ডাব খাওয়ার কথা বলে বাড়ির থেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী ফারুক শিকদারের ছেলে আশিকুর রহমান আশিক। পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের বাড়ির থেকে একটু দূরে ইছামতী বিলের ঢোকচান্দের মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আশিকের আরও সহযোগী লুকিয়ে ছিল। আশিক তাদের নিয়ে জায়গামতো উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সবুজ ও হৃদয়ের ওপর তারা অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে সবুজ ও হৃদয়কে জোরপূর্বক মাটিতে ফেলে দেয় তারা। এরপর প্রথমে হৃদয়কে ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। বিষয়টি দেখে আরেক ভাই সবুজ চিৎকার করতে থাকে। পরে তারা সবুজকেও গলা কেটে হত্যা করে।
এ ঘটনায় আশিককে ১ জানুয়ারি আটক করে থানা-পুলিশ। আটকের পর আশিক ঘটনাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত পুলিশকে জানায়। এরপর মামলার ২ নম্বর আসামি হেদায়েতকে আটক করে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ভৈরব নদের ব্রিজসংলগ্ন নদীতে হত্যায় ব্যবহৃত দেশি অস্ত্রের (চাকু) উদ্ধারে নামে পুলিশ।
অভয়নগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস জানান, মাগুরায় দুই ভাইকে হত্যার ঘটনায় মাগুরা থেকে একটি পুলিশের টিম এসেছিল। ভৈরব সেতুসংলগ্ন এলাকায় নদীতে ডুবুরি দল দিয়ে হত্যার ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে কাজ চলছিল।