কমিশন বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। আজ বৃহস্পতিবার খুলনা খালিশপুর ট্যাংকলরি ভবনে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন ও পদ্মা মেঘনা যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, ‘জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবি আজ (৩১ আগস্ট) বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পূরণ না হওয়ায় ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ থাকবে। চার বছর ধরে এই যৌক্তিক দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি।
‘সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চার বছরে কয়েকবার আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, প্রতিবারই সময় নিয়েছেন, কিন্তু বাস্তবায়ন করেননি। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের তেল উত্তোলন-পরিবহন বন্ধের কর্মসূচি ঘোষণা করতে হয়েছে এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে এবং শ্রমিকেরা এ আন্দোলনের মালিকদের সঙ্গে সব সময় যুক্ত থাকবে।’
তিন দফা দাবি হচ্ছে—জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রয়ের ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক গেজেট প্রকাশ করা।
সভায় বক্তব্য দেন জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগের সিনিয়র সহসভাপতি এম মোড়ল আব্দুস সোবহান, সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন, বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি এম মাহবুব আলম, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মোকছেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. আলী আজিম, পদ্মা মেঘনা যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নেতা আবুল কালাম কালু, পেট্রলপাম্প মালিক সমিতির মো. মুরাদুজ্জামান মুরাদ, রেজাউল করিম রেজা, আবুল মান্নান খান, রুহুল আমিন ফারাজি, শেখ জামিরুল ইসলাম, কাজী রফিকুল ইসলাম নন্টু, শেখ আশিকুজ্জামান, মিজানুর রহমান মিজু প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি খুলনা বিভাগীয় সভাপতি আব্দুল গফফার বিশ্বাস।