জাতীয় সংসদে অধিবেশন ডেকে কোটা ইস্যুর স্থায়ী সমাধানের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকালে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি পাঠানো হয়।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে ডিসি এহেতেশাম রেজা অনুপস্থিত থাকায় এডিসি মহসিন উদ্দীনের কাছে এই স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়। এ সময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সাত শিক্ষার্থী প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকাল ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা পদযাত্রা নিয়ে কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মোড় থেকে মজমপুর গেট ও মুজিব চত্বর ঘুরে জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে যান।
স্মারকলিপি দেওয়ার পর ডিসি কোর্ট চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তাঁরা কোটা সংস্কারে জরুরি অধিবেশন চেয়ে বলেন, ‘১৯৭২ সালে সংবিধানটি ছিল সমতার সংবিধান। যেখানে সবার সমতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ এত দিন পর এসেও আমরা কোটার নামে এক বৈষম্য ব্যবস্থা দেখতে পাচ্ছি, যা সংবিধানের লঙ্ঘন।’
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের ওপর যে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, সেটা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ ও গণপদযাত্রা করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ, কুষ্টিয়া পলিটেকনিক, সিটি কলেজ ও মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন ও স্মারকলিপি প্রদান কার্যক্রমে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ) আইন পাস করতে হবে—এই এক দফা দাবিতে গণপদযাত্রা করছেন শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে দুই সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়।