Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > খুলনা

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বাগেরহাটের আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে উপকূলবাসী, বন্দরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বাগেরহাটের আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে উপকূলবাসী, বন্দরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে রূপ নিয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ শুক্রবার দুপুর নাগাদ বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া অব্যাহত আছে। নদ-নদীতে ১-২ ফুট পানি বেড়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র ছুটছে মানুষ। মোংলা সমুদ্রবন্দরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে হারবার বিভাগ। 

এদিকে শরণখোলার গাবতলীতে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ এলাকা পর্যবেক্ষণ করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা। উত্তর বঙ্গোপসাগর, গভীর সাগর ও সুন্দরবন উপকূলে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহ নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। তবে বেশ কিছু মাছ ধরার ট্রলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। উপকূলবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের পক্ষ থেকে মাইকিং শুরু হয়েছে। শরণখোলা, মোংলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয়রা আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া শুরু করেছে। 

অন্যদিকে সুন্দরবনের দুবলারচরে শুঁটকির জন্য আহরিত মাছ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলে-মহাজনেরা। বৃষ্টির স্থায়িত্ব বাড়লে দুবলার শুঁটকিপল্লিতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন জেলেরা। ১ নভেম্বর থেকে সুন্দরবনের দুবলাসহ কয়েকটি চরে ১০ হাজারের অধিক জেলে মহাজন অবস্থান করছেন শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণে। 

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলেপল্লি টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ মজুমদার মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দুবলারচরসংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। তাই শুঁটকির ক্ষতির পাশাপাশি সাগর উত্তাল থাকায় জেলেদের মাছ ধরাও বন্ধ করে দিয়েছেন জেলেরা। মৌসুমের শুরুতেই দুর্যোগের কবলে পড়ায় আর্থিক ক্ষতিতে পড়বেন জেলেরা। 

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে এখন ৭ নম্বর সংকেত দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় নগদ ৯ লাখ টাকা, ৬৫০ মেট্রিকটন চাল ও ৩৫৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। ১ হাজার ৯২০ জন সিপিবি সদস্য এবং রেড ক্রিসেন্ট, বিএনসিসিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ৫০০ জন সদস্য প্রস্তুত রয়েছেন। বিভিন্ন এনজিওকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

যশোরে টিসিবির পণ্যের দাবিতে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

কেশবপুরে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে কবিরাজ গ্রেপ্তার

খুলনায় স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণে তিন সুপারিশ

সাতক্ষীরার সাবেক ডিসির গ্রেপ্তার দাবি

বালুভর্তি বস্তার নিচে মিলল শিশুর লাশ

বাগেরহাটে রমজানে বেগুনে আগুন, ছোলা-খেজুর-চিনিতে স্বস্তি

খুলনায় মাদকাসক্ত ছেলের দায়ের কোপে আহত মা

দুই রোগীর মৃত্যুতে তদন্ত কমিটি, ক্লিনিক সিলগালা

চুয়াডাঙ্গায় চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার না হওয়ায় এসপি অফিসের সামনে অবস্থান