খুলনা প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) এর আওতাধীন খুলনাসহ দেশের ২৫টি জুট মিলে পুনরায় উৎপাদন চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের নেতারা। এ সময় তাঁরা পাঁচটি জুট মিলে শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা ১১০ কোটি টাকা দেওয়ার দাবি জানান।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
বন্ধ থাকা এসব মিলগুলো হলো—নরসিংদীর বাংলাদেশ জুট মিলস লি. , সিরাজগঞ্জের জাতীয় (সাবেক কওমী) জুট মিলস লি. , ঢাকার করিম জুট মিলস লি. ও লতিফ বাওয়ানী জুট মিলস লি.।
রাজশাহীর রাজশাহী জুট মিলস লি. , নরসিংদীর চারটি জুট মিল একত্রিত হয়ে ইউএমসি জুট মিলস লি. , নারায়ণগঞ্জ জুটো ফাইবার গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লি. , চট্টগ্রাম দুটি মিল একত্রিত হয়ে আমিন জুট মিলস লি. , চট্টগ্রামের বাগদাদ-ঢাকা কার্পেট ফ্রাক্টরী, গালফ্রা হাবিব লি. , গুল আহমদ জুট মিলস লি. , হাফিজ জুট মিলস লি. , কেএফডি লি. , এম এম জুট মিলস লি. , আর আর জুট মিলস লি. এবং মিলস ফার্নিসিং লি.।
খুলনার আলিম জুট মিলস লি. , ক্রিসেন্ট জুট মিলস লি. , দৌলতপুর জুট মিলস লি. , ইস্টার্ন জুট মিলস লি. , খালিশপুর জুট মিলস লি. , প্লাটিনাম জুবলী জুট মিলস লি. এবং স্টার জুট মিলস লি. । যশোরের কার্পেটিং জুট মিলস লি. ও যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজ লি.।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের আহ্বায়ক আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মাদ বলেন, সদ্য পদত্যাগ করা সরকার ২০২০ সালে তরিঘড়ি করে এসব মিল বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া খালিশপুর জুট মিলস লি. , দৌলতপুর জুট মিলস লি. , জাতীয় জুট মিলস লি. , কর্ণফুলী জুট মিলস লি. এবং ফোরাত কর্ণফুলী জুট মিলস লিমিটেডের শ্রমিকদের ২০১৫ সালের মজুরি কমিশনের বকেয়াসহ অন্যান্য পাওনা রয়েছে ১১০ কোটি টাকা। তাদের এ টাকা না দিয়েই বিদায় করে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ ও বন্ধ থাকা ২৫টি মিল চালু করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।
সম্মেলনে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দল নেতা আবুল কালাম জিয়া, নগর আহ্বায়ক মজিবুর রহমান, সদস্যসচিব শফিকুল ইসলাম শফিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।