খুলনা প্রতিনিধি
খুলনার রূপসা নদীতে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজের কেবিন থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে জাহাজটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মরদেহটি ওই জাহাজের গ্রিজার সাখায়েত মুন্সির (৩৫) বলে নিশ্চিত করেছেন নৌবাহিনীর ডুবুরি মো. শাহ আলম।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নৌবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের প্রচেষ্টায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সাখায়েত মুন্সির গ্রামের বাড়ি নড়াইলে।
নৌপুলিশ বলছে, প্রবল স্রোতের কারণে জাহাজটি পানির ওপরে তোলা সম্ভব হয়নি। রূপসা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. নূরুল ইসলাম শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রূপসা নদী খুবই গভীর ও খরস্রোতা। এ কারণে ডুবুরিরা সঠিকভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে পারছে না। এতে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।’
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. রাশেদুল আলম বলেন, ‘জাহাজটি নদী থেকে উত্তোলনের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া কেন এ দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে।’
এর আগে রোববার মরক্কো থেকে বিএডিসির উদ্যোগে আমদানি করা ১ হাজার ১৪০ টন টিএসপি সার নিয়ে সুন্দরবনের হাড়িবাড়িয়া থেকে মোংলা বন্দর হয়ে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশে যাচ্ছিল পণ্যবাহী ‘এমভি টিএলএন-১’ (থ্রি লাইট নেভিগেশন) নামের কার্গো জাহাজটি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রূপসা নদীতে নির্মাণাধীন রেল সেতুর ৭২ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে জাহাজটি ডুবে যায়। এ সময় জাহাজে থাকা ১৩ নাবিকের মধ্যে ১১ জন সাঁতরে ও অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় তীরে উঠতে পারলেও দুজন নিখোঁজ হন।
নিখোঁজ জাহাজের গ্রিজার নড়াইলের সাখাওয়াত হোসেনকে (৩৫) উদ্ধার করা হলেও বাবুর্চি কালাম শেখের (৫৫) এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার বাড়ি পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামে।
টিএলএন-১ কার্গো জাহাজের মাস্টার মো. শহীদুল্লাহ জানান, ইলেকট্রো হাইড্রোলিক পাওয়ার ফল্ট করায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কার্গো জাহাজটি রূপসা রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা দেয়। পরে কিছু দূর না এগোতেই এটি ডুবে যায়।