সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এসে আত্মহত্যা করেছে এক কলেজ শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বিষপানের পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের নাম মিঠুন কুণ্ডু (২৪)। সে উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের শ্যামল কুণ্ডুর পুত্র ও দৌলতপুর সরকারি ব্রজলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
পুলিশ জানিয়েছে, মিঠুন দৌলতপুর বিএল কলেজে পড়ালেখার পাশাপাশি একটি কৃষি ফার্মে কাজ করত। গত মঙ্গলবার দুপুরের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় মিঠুন। ধামালিয়া গ্রামের তৌহিদুজ্জামান রাতুল জানান, ১৭ সেকেন্ডের ফেসবুক লাইভে একটি বোতলের মুখ খুলতে দেখে মিঠুনের স্বজনদের মোবাইলে খবর দেন তিনি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর ফার্মের পাশে মাছের ঘেরে মিঠুনকে পাওয়া যায়।
ফার্মের কর্মচারী রিনা বিশ্বাস বলেন, ‘ঘেরের পাশে মিঠুনকে দেখে সন্দেহ হলে জানতে চাই—সে বিষ খেয়েছো কিনা। তখন সে অস্বীকার করে। কিন্তু সবাই বিষ খাওয়ার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে মিঠুন মারা যায়। আত্মহত্যার আগে দুদিন ধরে মিঠুন তার ফেসবুকে কয়েকটি হতাশামূলক স্ট্যাটাস পোস্ট করেছে।’
রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক সিকদার এনায়েত বলেন, ‘আমি জানার জন্য বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মিঠুন ধান চাষে ব্যবহৃত বিষ পান করেছে। নারীঘটিত কোনো কারণ থাকতে পারে বলে কিছুটা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।’
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন, ‘খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা হয়েছে।’