যশোর প্রতিনিধি
যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলোচিত কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলনকে ‘মদ্যপ অবস্থায়’ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে শহরের পালবাড়ী কাঁচাবাজার এলাকায় নিজের কার্যালয় থেকে তিনজন সহযোগীসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পুলিশ তিন বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করে। টাক মিলন হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি।
টাক মিলনের সঙ্গে গ্রেপ্তার তিনজন হলেন শহরের টালিখোলা এলাকার দস্তগীর, কদমতলা এলাকার শফিকুল ইসলাম ও টালিখোলা এলাকার মারুফুজ্জামান। পরে পুলিশ তাঁদের নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যার হাসপাতালে যায়। মদ পান করায় তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে তিন বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। এ ছাড়া টাক মিলনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সব অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান চলছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাঁচাবাজারসংলগ্ন একটি ভবনে অবস্থিত ইন্টারনেট ব্যবসার অফিসে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখানে কয়েকজন বসে মদ পান করছিলেন। পুলিশ সেখান থেকে পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলনসহ চারজনকে আটক করে। এ ছাড়া ওই অফিসের ভেতর থেকে তিন বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।’
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, ‘অনুসন্ধান চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, জাহিদ হাসান মিলন ওরফে টাক মিলনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে দুবাই চলে যান তিনি। নাগালের বাইরে থাকায় তখন গ্রেপ্তার করতে পারেনি যশোরের পুলিশ। অবশেষে দুবাই থেকে দেশে ফেরার পথে টাক মিলনকে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পুরোনো কসবা কাজীপাড়া এলাকার যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
অভিযোগ রয়েছে, সোহাগ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী টাক মিলন। ওই মামলায় আটক এক আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে টাক মিলনের নাম উঠে আসে। এই মামলার সন্দেহভাজন আসামি তিনি। এ ছাড়া একাধিক মামলা ও বিভিন্ন অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।