মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বিদেশি পর্যটক নিয়ে সুন্দরবনে যাচ্ছে ভারতীয় প্রমোদতরি ‘গঙ্গা বিলাস’। এ যাত্রায় চারজন সুইস এবং দুজন জার্মান পর্যটক থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে দুজন সশস্ত্র বনরক্ষী নিয়োজিত থাকবেন। আগামীকাল বুধবার সুন্দরবনের ঢাংমারী স্টেশন থেকে রাজস্ব দিয়ে তাঁরা বনের বিভিন্ন স্থানে প্রবেশ করবেন বলে জানা গেছে।
এসব তথ্য জানিয়েছেন খুলনা বনাঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো।
বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমে বিদেশি ছয় পর্যটক বুধবার সুন্দরবনের ঢাংমারী স্টেশন থেকে সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য তাঁদের সরকারি রাজস্ব ফি জমা দেবেন। সেখান থেকে ওই দিন তাঁরা বনের হারবাড়িয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে যাবেন। এরপর বৃহস্পতিবার প্রমোদতরি গঙ্গা বিলাসে করে তাঁরা যাবেন সুন্দরবনের কচিখালী এলাকায়। সেখানে ভ্রমণের পরদিন শুক্রবার তাঁরা কটকা এলাকার জামতলা সি বিচ ঘুরে দেখে রাতেই আবার ওই প্রমোদতরিতে উঠবেন।’
কুমার দো আরও বলেন, ‘এদিন পশুর নদী পাড়ি দিয়ে পর্যটকবাহী বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে করে শনিবার বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ ভ্রমণ শেষে আবার নদীপথে খুলনার আংটিহারা এলাকায় ইমিগ্রেশন করতে যাবেন এই বিদেশি পর্যটকেরা। এরপর ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে রোববার ভারতের উদ্দেশে বাংলাদেশের জলসীমা ত্যাগ করবেন তাঁরা।’
গত ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চারজন সুইস, দুজন জার্মান ও একজন অস্ট্রেলিয়ানসহ ২৮ জন পর্যটক নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী দিয়ে সুন্দরবনের নৌ-সীমান্ত পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ভারতের প্রমোদতরি ‘গঙ্গা বিলাস’। পরদিন ৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচ তারকা মানের বিলাসবহুল পর্যটকবাহী জাহাজটি মোংলা বন্দরের জেটিতে আসলে নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী তাঁদের অভ্যর্থনা জানান। এরপর তাঁরা ৪৪ দিন বাংলাদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করেন।
বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো জানান, এই ছয় পর্যটক ছাড়া বাকি পর্যটকেরা রোববার ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন।