খুলনায় শেখ হুমায়ুন কবির হত্যার ঘটনায় নিজের কিশোরী মেয়েসহ (১৬) অজ্ঞাতপরিচয় দুই-তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন তাঁর স্ত্রী ফারজানা আফরিন (৪১)। ঘটনার দুই সপ্তাহ পর নগরীর দৌলতপুর থানায় আজ সোমবার মামলাটি করা হয়। পুলিশ ওই কিশোরীকে গ্রেপ্তার করেছে।
শেখ হুমায়ুন কবির নগরীর দৌলতপুরের দেয়ানা উত্তরপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর বিশ্বাস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাদী ফারজানা আরফিন মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী শেখ হুমায়ুন কবিরকে ছোট মেয়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। মেয়ে এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে তিনি দাবি করেন।
ফারজানা আরফিন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, গত ৩ জুলাই তিনি ও তাঁর মেজ মেয়ে হুমাইয়া বিনতে কবির বাসার বাইরে ছিলেন। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে তাঁর ছোট মেয়ে ভয় পাচ্ছেন জানিয়ে তাঁর সঙ্গে ঘুমাতে যান। পরদিন সকালে হুমায়ুন কবিরকে মৃত অবস্থায় পান।
ফারজানা আরফিন বলেন, তাঁর স্বামী মেয়েকে শাসন করতেন। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাতের খাবার ও পানির সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে কয়েকজন মিলে তাঁকে হত্যা করে। তাঁর স্বামীর বাঁ বাহুতে দুটি ছিদ্র ও হাতে রক্ত ছিল বলে জানান তিনি। স্বামীর মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে কবর থেকে লাশ তোলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, হুমায়ুন কবিরের মৃত্যু নিয়ে কদিন ধরে নানা ধরনের আলোচনা চলছিল। গতকাল রোববার দুই মেয়েসহ ফারজানা আরফিন থানায় হাজির হন। হত্যায় অভিযুক্ত মেয়ের আচরণ ছিল রহস্যজনক। এ কারণে পুলিশ প্রথমে রাজি না হলেও পরে মামলা নিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, শেখ হুমায়ুন কবিরকে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁর কিশোরী মেয়ে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।