খুলনার পাইকগাছায় টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ‘জোনাকি গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি’র কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে গ্রাহকেরা। আজ সোমবার দুপুরে কয়েক শ গ্রাহক পৌরসভার সমিতি কার্যালয়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে ছয় মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে তাঁদের মুক্ত করে।
জানা গেছে, সমিতির সভাপতি মোহম্মাদ আলী, নির্বাহী পরিচালক আলাউদ্দিন গাজীসহ অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে সমিতির গ্রাহকেরা। তাঁদের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তাঁদের। আজ সোমবার দুপুরে পৌরসভার সরল বাজার সমবায় সমিতি কার্যালয়ে তাঁদের আটকের রাখা হয়। এ সময় তাঁরা বিক্ষোভ করেন এবং নিজেদের লগ্নি করা টাকা ফেরত চান।
খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ গিয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় পুলিশ গ্রাহকের টাকা ছয় মাসের মধ্যে পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সমিতির কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ব্যাংক চেক আদায় করে। তা ছাড়া তিন শ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়।
সমিতির গ্রাহক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সমিতিতে দুটি ডিপিএসে ৪ লাখ টাকা পাওনা রয়েছি। ডিপিএসের মেয়াদ এক বছর শেষ হলেও আমি টাকা পাচ্ছি না।’ একইভাবে বিপ্লব সরকার ১ লাখ, মাসুম বিল্লাহ ৮০ হাজার, মমিন স্বীকারী ২ লাখ টাকাসহ শতাধিক ডিপিএস গ্রাহক প্রায় দুই কোটি টাকা পাবেন বলে সমিতির গ্রাহকেরা জানান।
তবে জোনাকি গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমরা টাকা তছরুপ করিনি। আমাদের মাঠে টাকা ও সম্পদ রয়েছে।’
সভাপতির এই দাবি খণ্ডন করে সমিতির গ্রাহক ইসরাইল ইসলাম বলেন, মাঠে যে টাকা ও সম্পদ রয়েছে, সেই টাকায় গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ হবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় ২ হাজার পাওনাদার সমিতির সভাপতিসহ কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে আমি গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করি। গ্রাহকের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’