হোম > সারা দেশ > খুলনা

বাড়ি ফেরার ঠিকানা নেই তিন নারীর

যশোর প্রতিনিধি

তাঁরা বাড়ি ফিরতে চান। কিন্তু ঠিকানা জানা নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা চালিয়েও তাঁদের স্বজনদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমনই তিনজন প্রতিবন্ধী নারী আছেন ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশনের যশোর শেল্টার হোমে। পরিবারের সন্ধান না পাওয়ায় জেলা প্রশাসন তাঁদের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

ওই তিন নারী হলেন ৬৫ বছর বয়সের বাক্‌প্রতিবন্ধী এক বৃদ্ধা, ২৩ বছরের বাক্‌প্রতিবন্ধী এক তরুণী এবং মানসিক প্রতিবন্ধী শিমু (২৪) নামের এক নারী।

প্রশাসন-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের তত্ত্বাবধানে ওই তিন নারী এখন আহ্‌ছানিয়া মিশন যশোরের শেল্টার হোমে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বাক্‌প্রতিবন্ধী বৃদ্ধাকে গত বছরের ২৯ আগস্ট বেনাপোল সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করে বেনাপোল থানা-পুলিশ জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের কাছে হস্তান্তর করে। এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি পরিচয়হীনভাবে শেল্টার হোমে রয়েছেন। আরেক বাক্‌প্রতিবন্ধী তরুণীকে বেনাপোল থানা-পুলিশ ভবঘুরে অবস্থায় উদ্ধার করে গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের কাছে হস্তান্তর করে। এ ছাড়া শিমু (২৪) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে ফরিদপুরের একটি শেল্টার হোম থেকে নিজেদের জিম্মায় নেয় জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার।

এরপর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ওই তিন নারীকে তাঁদের পরিবারে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করে। কিন্তু তাঁদের পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফলে তাঁদের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার।

জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার যশোরের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার শাওলী সুলতানা বলেন, পারিবারিক একত্রীকরণের জন্য তাঁরা ওই তিন নারীর স্বজনদের সন্ধান করেছেন। কিন্তু কোনো ঠিকানা পাওয়া যায়নি। এ জন্য তাঁরা বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন।

জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রতিবন্ধীবিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিণ তিন নারীর ঘটনা তদন্ত করে তিনটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। জেলা প্রশাসক বরাবর করা প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি ও ইশারা ভাষার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ৬৫ বছরের বাক্‌প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা বিবাহিত। তাঁর সন্তান রয়েছে। তাঁর সই নিয়ে সম্পত্তি দখল করে তাঁকে অপরিচিত জায়গায় রেখে আসা হয়।

আর স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি ও ইশারা ভাষার মাধ্যমে আধো আধো বোলে ২৩ বছরের বাক্‌প্রতিবন্ধী তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর নাম মীম অথবা জীম। তিনি অবিবাহিত। তাঁরা চার ভাইবোন। তিনি বড়। বাবার নাম বাবু ও মায়ের নাম রুবিনা। কিন্তু ঠিকানা জানাতে পারেননি। আরেক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী শিমু (২৪) জানিয়েছেন, তাঁর বাবার নাম বারেক। শিমু তাঁর পরিবারের আর কোনো তথ্য দিতে পারেননি।

জেলা প্রতিবন্ধীবিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিণ বলেন, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর অফিসে তাঁদের আঙুলের ছাপ ও ছবি দিয়ে পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারও তাঁদের স্বজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাঁদের পরিচয় উদ্ঘাটন কিংবা স্বজনদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

সমাজসেবা অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক অসিত কুমার সাহা বলেন, জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই তিন নারীকে সরকারি বা বেসরকারি বৃদ্ধাশ্রম এবং বাকি দুজনকে গাজীপুরে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম শাহীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই তিন নারীকে তাঁদের নিরাপদ আশ্রয় পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ঠিকানা বা পরিচয় উদ্ঘাটিত না হওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি। এ জন্য বৃদ্ধাকে সরকারি বা বেসরকারি বৃদ্ধাশ্রম এবং বাকি দুজনকে গাজীপুরে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

১০ দিনের মাথায় ওএসডি যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান

ছাত্রলীগ নেতা লেখকের ভেবে জামায়াত নেতার মাছ লুট

দৌলতপুরে বিএনপি নেতার বাড়িতে অভিযান, নগদ অর্থ ও ইয়াবা উদ্ধার

দৌলতপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৩

যশোরে ভৈরব নদে মিলল ইজিবাইকচালকের লাশ, ৩ বন্ধু আটক

তিন সেতু-কালভার্টে ধস লাখো মানুষের দুর্ভোগ

রাজনৈতিক সরকার ছাড়া সংস্কার টেকসই হবে না: সিজিএস সংলাপে বক্তরা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা: প্রেস সচিব

সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার

বাগেরহাটে অস্ত্র–গুলিসসহ ২ যুবক গ্রেপ্তার

সেকশন