খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনসহ ১৪ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত নথি চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়। আগামী ৫ মার্চের মধ্যে তাঁদের নথি দুদক খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।
আজ বুধবার খুবিতে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে অনুসন্ধানী দলের প্রধান উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ স্বাক্ষরিত ওই চিঠি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়। আবদুল ওয়াদুদ চিঠি পাঠানোর তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ ও পদোন্নতি বিধিমালা অনুযায়ী সাবেক ভিসি মাহমুদ হোসেনসহ ১৪ কর্মকর্তার বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিতে যোগদানসংক্রান্ত আবেদনপত্র, নিয়োগপত্র, যোগদানপত্র, পদোন্নতির আদেশ এবং জাতীয় পরিচয়পত্রসহ ব্যক্তিগত নথির ছায়ালিপি চাওয়া হয়।
এ ছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন ও আরেক সাবেক ভিসি ফায়েকুজ্জামানের কর্মকালে নিয়োগপ্রাপ্ত ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা, নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের তালিকা, নিয়োগ কমিটির সভার কার্যবিবরণীসহ নিয়োগ ও পদোন্নতি নথির সত্যায়িত ছায়ালিপি চাওয়া হয়। অধ্যাপক মাহমুদ হোসেন ভিসি পদে দায়িত্ব পালনকালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যেসব অডিট সম্পন্ন হয়েছে, সেসবের প্রতিবেদন এবং ওই সময়ের কোনো অডিট আপত্তি থাকলে তার জবাবও চাওয়া হয়েছে।
দুদক খুলনার উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘২০ ফেব্রুয়ারি কমিশন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ হোসেনের সময়কালের অনিয়ম অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে। এর পর ২৪ ফেব্রুয়ারি চার সদস্যের টিম গঠন করা হয়। অনুসন্ধানে অপর উপাচার্য অধ্যাপক ফায়েক উজ্জামানের অনিয়মের তথ্য-প্রমাণ পেলে সেটিও কমিশনকে জানানো হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইচ্ছে করলে কাউকে নিয়োগ বা পদোন্নতি দেওয়া যায় না। প্রতিটি নিয়োগেই কমিটি ছিল, তারা যাচাই-বাছাই করেছে, পরীক্ষা নিয়েছে। সব বিবেচনায় নিয়ে নিয়োগ দিয়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি।’