Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > খুলনা

২০ হাজারের বেশি সাপ ধরার অভিজ্ঞতা তাঁর!

ফরিদ খাঁন মিন্টু, শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

২০ হাজারের বেশি সাপ ধরার অভিজ্ঞতা তাঁর!

সবুজ বনাঞ্চল প্রকৃতির সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তোলে বহুগুণ। সেই সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিভিন্ন প্রাণী, পাখ-পাখালির স্বাভাবিক বিচরণও অপরিহার্য। কিন্তু প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্টের কারণে বন্য প্রাণী বিষধর সাপ ঢুকে পড়ে লোকালয়ে, বসতভিটায়। শুধু তা-ই নয়, রীতিমতো বসতঘরে বংশবিস্তারও শুরু করে। এ সময় প্রয়োজন পরে একজন সাপুড়ে।

আজ সোমবার এমনই একজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। যিনি তাঁর জীবদ্দশায় অন্তত ২০ হাজার সাপ ধরে বনে অবমুক্ত করেছেন বলে দাবি করেছেন। ফোন কল বা যেকোনোভাবেই ডাক পেলে ছুটে যান সাপ ধরতে। দক্ষতা ও কৌশলে খুব সহজে বিষধর সাপকে ধরতে পারেন কোনোরূপ ক্ষতি সাধন না ছাড়াই।

তাঁর নাম মো. শামছু তালুকদার। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ৩ নম্বর রায়েন্দা ইউনিয়নের চাল রায়েন্দা গ্রামের বাসিন্দা তিনি।

তিনি জানালেন, ২০০৭ সালে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় সিডরের আগে থেকেই তিনি এ পেশায় নিয়োজিত। সাপ ধরার কৌশল শিখেছেন রাজধানী ঢাকা এবং ভারতের কলকাতা থেকে।

সাপ ধরার আগে তিনি কোনো ধরনের প্রস্তুতি নেন কি না, এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, তাঁর হাতের ওপরের চামড়া কেটে একধরনের ঔষধি গাছের ডাল ঢোকানো। তিনি দেখালেন সেখানে আটটি সেলাইও রয়েছে। সাপ ধরার আগে একটা প্রচলিত মন্ত্র বলেন তিনি। তারপর বুকে সাতবার ফুঁ দিয়ে সাপ ধরেন। তাঁর বিশ্বাস ওই গাছের ডাল ও মন্ত্রের শক্তিতে তিনি সাপকে খুব সহজেই ধরাশায়ী করতে পারেন।

পেশা হিসেবে সাপ ধরার কাজ করলেও আয়ের কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ তাঁর নেই। শামছু তালুকদার জানালেন, তাঁর কোনো নির্দিষ্ট উপার্জন নেই। মানুষের বাসায় সাপ ধরতে গেলে লোকজন খুশি মনে যে পরিমাণ টাকা দেন, তাই খুশি হয়ে গ্রহণ করেন তিনি।

একমাত্র সন্তানকে মাওলানা পড়িয়েছেন। তাঁর ছেলে এখন ঢাকায় শিক্ষকতা করেন বলেও তিনি জানান।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সাপকে না মারা অনুরোধ করেছেন শামছু তালুকদার। তিনি জানান, কেউ যেন সাপকে মেরে খোলা বাতাসে না রাখে, এতে মৃত সাপের দুর্গন্ধে মানুষের অ্যাজমার সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাপ নিরীহ প্রাণী এবং জীববৈচিত্র্যে রক্ষায় তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান তিনি।

দৌলতপুরে ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

দর্শনায় একের পর এক বোমার মতো বস্তু

সাতক্ষীরায় মাটির দেয়াল চাপা পড়ে একজনের মৃত্যু

দখলদারদের লোভে খুলনা বিভাগের ৩৭টি নদী সংকটাপন্ন

মাগুরায় ধর্ষণে শিশুর মৃত্যু: দ্বিতীয় দিনেও আসামির বাড়িতে ভাঙচুর, কেটে নেওয়া হচ্ছে গাছ

সুন্দরবনে ২৮ কেজি হরিণের মাংসসহ আটক ১

দৌলতপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাগুরার শিশুটির গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

সড়কে শ্যালোইঞ্জিন যানের মরণফাঁদ

দৌলতপুরে সেনা অভিযানে ভারতীয় পিস্তল উদ্ধার