Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > খুলনা

খুলনা বিভাগে রেকর্ড ৪৬ জনের মৃত্যু

প্রতিনিধি, খুলনা

খুলনা বিভাগে রেকর্ড ৪৬ জনের মৃত্যু

কঠোর লকডাউনেও খুলনায় বাড়ছে করোনায় মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে ১ হাজার ৩০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে আজ রোববার জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দপ্তর সূত্র। এ নিয়ে শনাক্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়াল। 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গতকাল শনিবার মৃতের সংখ্যা ছিল ৩২ জন। 

এদিকে চিকিৎসকেরা বলছেন, লকডাউনের সুফল পেতে আরও অন্তত ১০ দিন সময় লাগবে। ১০ দিন পর হয়তো করোনা সংক্রমণ কমতে পারে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে আজও প্রশাসনের কঠোর অবস্থান দেখা গেছে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে খুলনায় ১৫ জন, কুষ্টিয়ায় ১৫ জন, যশোরে সাতজন, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গায় দুজন করে এবং বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও মেহেরপুরে একজন করে মারা গেছেন। 

খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় খুলনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে জেলার ১০ জন রয়েছেন। একইসময়ে ৪৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা মোট নমুনা পরীক্ষার ৩৪ শতাংশ। 

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫০ জন, বাগেরহাটে ১৫৩ জন, সাতক্ষীরায় ১২৫ জন, যশোরে ১৯৫ জন, নড়াইলে ১২১ জন, মাগুরায় ৬৬ জন, ঝিনাইদহে ১১৩ জন, কুষ্টিয়ায় ১৯২ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১৪০ জন এবং মেহেরপুরে ৪৯ জন। 

কঠোর লকডাউনের মধ্যে করোনায় মৃত্যু কিংবা সংক্রমণ বৃদ্ধি সম্পর্কে খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মো. বলেন, লকডাউন শুরু হলেই করোনা কমবে না। কিছুদিন সময় দিতে হবে। যে ভাবে লকডাউন চলছে, এই ভাবে চলতে থাকলে হয়তো আরও ১০ দিন পর ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে। সে সময় হয়তো করোনা কমবে।

অপরদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদি নেওয়াজ বলেন, শুধুমাত্র লকডাউন বা স্বাস্থ্য সেবা বৃদ্ধি করে করোনা সংক্রমণ রোধ সম্ভব নয়। মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন না হলে করোনা বৃদ্ধি পাবে। করোনা রোধে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সবার স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তিনি সকলের প্রতি স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানান।

এদিকে কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনেও প্রশাসন খুলনার রাজপথে রয়েছে কঠোর অবস্থানে। আজ সকাল থেকে নয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত, একটি ব্যাটালিয়ন সেনবাহিনী, দুই প্লাটুন বিজিবি, র‍্যাব এবং পুলিশ সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। 

খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৬০ হাজার ৫৬৪ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২১৪ জন। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪০ হাজার ২১৮ জন। 

কুয়েটে রাজনীতিতে জড়ালে আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল

বিদেশ ভ্রমণকর জালিয়াত সেই শামীম পুলিশের জালে

কুমারখালীতে দুই এএসআই হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

মাগুরায় শিশু ধর্ষণের আসামিদের সহায়তা দেবেন না কোনো আইনজীবী

মাগুরায় ধর্ষণকারীদের ফাঁসির দাবিতে খুলনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ভারতে পাচারকালে সোনার ১৫ বার জব্দ, আটক ১

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: গভীর রাতে শুনানি, ৪ আসামি রিমান্ডে

সেখানে প্রতিদিন ইফতার করেন ৮ হাজার মানুষ

চার দিনেও চেতনা ফেরেনি ধর্ষণের শিকার শিশুটির

নারী নির্যাতন রোধে খুবি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ–বিক্ষোভ