গাড়িপ্রতি ৫০ টাকা চাঁদা; চাঁদা না দিলে মারধর। চাঁদা না দিলে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ফাঁকা ইজিবাইক ফেরত পাঠানোর মতো ঘটনাও ঘটে।
এই চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে যশোরের কেশবপুর ও খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ইজিবাইক চালকেরা। চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে প্রায় অর্ধশতাধিক চালক আজ অবস্থান ধর্মঘটও করেছে। আজ সোমবার দুপুরে কেশবপুর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন পাবলিক ময়দানে তাঁরা এ ধর্মঘট পালন করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজারের বুড়িভদ্রা ব্রিজ এলাকা থেকে যাত্রী নিয়ে কেশবপুরের গৌরীঘোনা হয়ে শৈলগাতি ব্রিজ দিয়ে ডুমুরিয়ার শাহপুর পর্যন্ত এ ইজিবাইকগুলো চলে। চালকদের অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের। অনেকে ভাড়া নিয়ে ইজিবাইক চালায়। তবে যাত্রী নিয়ে কেশবপুরের গৌরীঘোনা ইউনিয়নে পৌঁছালে প্রতিদিন চাঁদাবাজির শিকার হতে হয়। ওই এলাকার রয়নাবাজ গ্রামের বাসিন্দা হাফিজুর রহমান হাবু, শিশির ও আব্দুস সামাদ অবৈধভাবে এ চাঁদা দাবি করেন।
প্রত্যেক ইজিবাইক চালককে অন্তত ৫০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে চালকদের নামিয়ে মারধর করা হয়। এমনকি যাত্রীদের ইজিবাইক থেকে নামিয়ে খালি গাড়ি চুকনগরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে চালকেরা আতঙ্কে ও ভয়ে ইজিবাইক চালায়। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
এই অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী ইজিবাইক চালকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য স্মারকলিপিটি কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে পাঠানো হয়েছে।