কুষ্টিয়ায় ১৭ বছর আগের স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই সহোদরসহ সাত জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন বলে জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর অনুপ কুমার নন্দী জানিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুষ্টিয়া সদরের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার রাজিতপুর গ্রামের মোকাদ্দেস আলীর দুই ছেলে ফিরোজ ও দেলবার, ফিরোজের ছেলে সবুজ, দেলবারের ছেলে মিজান, একই গ্রামের হোসেন আলী, গজনবীপুর গ্রামের সাইদুল ইসলাম ও ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার সিরামপুর গ্রামের হেলাল।
তবে রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ছাড়া দুজনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের খালাস দেন আদালত। তাঁরা হলেন গোলাম সরোয়ার ও রোবেল রানা।
আদালতের নথি অনুযায়ী, ২০০৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে পূর্বশত্রুতার জের ধরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রণজিতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মিঠু শেখকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা। এ ঘটনার পরদিন নিহতের শ্বশুর শমসের আলী বাদী হয়ে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে ২০০৬ সালের ৩১ আগস্ট উপপরিদর্শক আবদুল কুদ্দুস সাত আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।