খুলনায় আগুনে পুড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। ওই গৃহবধূর নাম সুজলা বিশ্বাস (৪৫)। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ফরাজী পাড়া এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী শ্যামল কুমারকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই গৃহবধূ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছিলেন।
সুজলা বিশ্বাস ও শ্যামল কুমার ফরাজী পাড়া এলাকায় মৃত আব্দুল জব্বারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার তালা গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, সুজলা বিশ্বাসের ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে তাঁরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতর ঢুকে আগুন নেভান। কিন্তু ততক্ষণে মারা যান সুজলা।
খুলনা সদর থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আগুনে সুজলা রানী বিশ্বাস নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে আমরা কেরোসিনের গন্ধ পেয়েছি। ধারণা করছি, গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে সুজলা রানী বিশ্বাসের মৃত্যু হয়েছে।’
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই নারীর স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
তিনি আরও জানান, গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
খুলনার টুটপাড়া ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, সুজনা রানী বিশ্বাস গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছেন।’