সাতক্ষীরায় দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর গ্যাসের ট্যাবলেট (কীটনাশক) খেয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আজ রোববার দুপুর ২টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে, আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার কুশখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ওই ছাত্রী গ্যাসের ট্যাবলেট খায়।
স্বজনদের দাবি, স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে যেতে নিষেধ করায় মায়ের ওপর অভিমান করে সে বিদ্যালয়ে গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ওই স্কুলছাত্রীর নাম সুমাইয়া খাতুন (১৬)। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালি গ্রামের আহাদ আলীর মেয়ে। তিনি দিনমজুর হিসেবে বাগেরহাটের এক ইটভাটায় কাজ করেন।
কুশখালি গ্রামের বাসিন্দা ও সুমাইয়ার চাচাতো ভাই আব্বাস হোসেন (২৫) জানান, সুমাইয়া বাড়িতে থাকাকালীন ও স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে মোবাইল ফোনে কথা বলত। বিষয়টি তার মা নীলিমা খাতুন নিষেধ করতেন, কিন্তু সে শুনতো না। আজ রোববার সকালে সুমাইয়া মোবাইলে একজনের সঙ্গে কথা বললে তার মা তাকে বকাবকি করে। এমনকি স্কুলে মোবাইল না নিয়ে যাওয়ারও নির্দেশনা দেন। এতে সে মায়ের ওপর অভিমান করে স্কুলে যেয়ে গ্যাস ট্যাবলেট খায়।
দুপুর ১২টার দিকে স্কুলের এক সহপাঠীর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমাইয়া মারা যায়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান, সুমাইয়ার মরদেহ হাসপাতালে রাখা আছে। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রয়োজন না পড়লে আগামীকাল সোমবার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।