খুলনা প্রতিনিধি
বাড়ছে শীত। আর সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে জ্বর, ডায়রিয়া সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, খুলনা শিশু হাসপাতালে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে নতুন নতুন রোগী। বহির্বিভাগে বাড়ছে রোগীদের ভিড়। ফলে খুলনার স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়েছে বাড়তি সতর্কতা। হাসপাতালগুলোতে রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত ওষুধ। ১১৪টি মেডিকেল টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাঠকর্মীরা স্বাস্থ্য বিষয়ে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে খুলনা শিশু হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, 'গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ২৬০ জন রোগী। এ ছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে রোগী আসছে ৩৫০ জন। এক সপ্তাহ আগে হাসপাতালে ২৪০ জন রোগী ভর্তি ছিল। বহির্বিভাগে গড়ে ৩০০ করে রোগী আসত। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অধিকাংশ জ্বর, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। ঠান্ডার কারণে শিশুরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। এ সময় শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শিশুদের ঠান্ডা লাগানো যাবে না, আবার বেশি গরম পোশাকও পরানো যাবে না। শিশুকে এমনভাবে রাখতে হবে, যাতে তার ঠান্ডা বা গরম না লাগে।'
সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, 'শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পায়। এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্ক মানুষ। তবে একটু সতর্ক হলে শীতজনিত রোগ থেকে মানুষ রক্ষা পেতে পারে। ইতিমধ্যে সবার স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুলনা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ১১৪টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব হাসপাতালে রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধের সরবরাহ রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।'