কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বসতে শুরু করেছে ডুমুরিয়ায় পশুর হাট। উপজেলাজুড়ে আলোচনায় রয়েছে ‘কালা মানিক’। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার ঈদের বাজার কাঁপাবে এই গরু। কালা মানিকের দৈর্ঘ্য ১৫ ফুট, উচ্চতা ৭ ফুট এবং ওজন ৩২ মণ।
কালো রঙের গরুটির মালিকের নাম প্রবীর মজুমদার। তিনি ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের রোস্তমপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাড়িতেই রয়েছে গরুর খামার। সেখানেই দেখা মেলে ৩২ মণ ওজন গরুটির। এ ছাড়া তাঁর আরও তিনটি গরু রয়েছে।
খামারি প্রবীর মজুমদার জানান, কালা মানিক খুব শান্তস্বভাবের। প্রবাসী প্রবীর দেশে ফিরে শখের বশে খামার গড়ে তোলেন। পাঁচ বছর ধরে গরুর ব্যবসা করছেন তিনি। দুই বছর আগে লালনপালন শুরু করেন।
প্রবীর মজুমদার আরও জানান, প্রতিদিন দুই বেলা প্রায় ১০ কেজি করে খাবার খায় গরুটি। এর মধ্যে রয়েছে গমের ভুসি, ধানের কুঁড়া, ভুট্টা, শুকনো খড় ও কাঁচা ঘাস। এ ছাড়া মাঝে মধ্যে খুদও খায়। তবে মোটাতাজাকরণের কোনো ধরনের ওষুধ দেন না। প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শেই এসব খাবার খাওয়ান তিনি।
এদিকে কালা মানিককে দেখতে প্রতিদিনই লোকজন ভিড় করছেন খামারে।
গরু দেখতে আসা এনামুল গাজী বলেন, ‘বড় আকৃতির গরুর কথা শুনে দেখার আগ্রহ হয়েছিল। তাই দেখতে এসেছি। আমি অনেক খামারির কাছে খবর নিয়েছি, উপজেলায় এত বড় গরু আর নেই।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা সুলতানা বলেন, চাহিদা অনুযায়ী কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। তবু খামারিরা গরু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।