খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় খানজাহান আলী থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার তিনজনকে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তররা হলেন–অলিয়ার রহমান রাজু (২৫), রিফাত হোসেন (২৪) ও মেহেদী হাসান আকাশ (২৪)। এর মধ্যে যুবলীগ নেতা অলিয়ার রহমান রাজু কুয়েট রেজিস্ট্রার দপ্তরের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। বাকি দুজন বহিরাগত, তবে তিনজনই কুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি রুদ্র নীলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত বলে জানা গেছে।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সংঘর্ষে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।’
এর আগ গত ১৪ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলে ওঠাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের তিনজনকে পিটিয়ে আহত করে কুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্র নীল সিংহের অনুসারীরা। এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তাহমিদুল হক ইশরাক বাদী হয়ে রুদ্র নীলসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বাদী ছাত্রলীগ নেতা তাহমিদুল হক ইশরাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এজাহারভুক্ত ১২ আসামি পুলিশের সামনে ক্যাম্পাসে ও হলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলার পরও আমার ছেলেদের হুমকি দিচ্ছে, মারধর করছে। কিন্তু পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’