ইবি প্রতিনিধি
আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের সংশ্লিষ্টতা তদন্তের দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। আজ রোববার শিক্ষক সমিতির এক সভায় এ দাবি জানানো হয়।
সভায় বলা হয়, গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের একটি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে এ বিষয়ে রেজিস্ট্রারের সংশ্লিষ্টতা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া এবং ওই সময়ে তাঁকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার দাবি জানানো হয়।
এর আগে ঠিকাদারের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের আর্থিক লেনদেনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই কমিটির তদন্ত রিপোর্ট দ্রুতসময়ের মধ্যে প্রকাশ করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের বিভিন্ন সময়ে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অডিওর তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ এবং আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ঘটনা তদন্তের দাবি জানিয়েছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ভিডিওটি দেখেছি। একটি কুচক্রী মহলের চক্রান্ত এটি। ভিডিওটিতে আমার মাথা কেটে লাগানো হয়েছে। নিচের দিকে এক হিন্দু লোকের বডি (শরীর) লাগানো হয়েছে। বডি পার্টের সঙ্গে আমার বডি পার্টের কোনো মিল নেই।’
গতকাল শনিবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের চেহারা সদৃশ একটি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়। ‘ইবির ত্রাস’ নামক ফেসবুক আইডি থেকে এটি পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করে ভিডিও কলের স্ক্রিন রেকর্ডের একটি ভিডিও সংযুক্ত করা হয়।