ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সমকামিতা, শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, যৌন হয়রানিসহ নানা অভিযোগে সিন্ডিকেট এক বছরের জন্য তাঁকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে। তবে বিভাগের শিক্ষার্থীরা সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে নেমেছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুল ইসলামকে ২২ ডিসেম্বর থেকে এক বছরের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয় এবং একটি বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বাতিল করা হয়। আমরা এই সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে প্রত্যাখ্যান করছি। আমাদের দাবি, হাফিজকে স্থায়ী বরখাস্ত করতে হবে। আমরা তদন্ত কমিটিকে সব অভিযোগের প্রমাণসহ উপস্থাপন করেছি। কিন্তু এত অভিযোগের পর এই শাস্তি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। তাই দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাব আমরা।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ‘তোমাদের দাবির প্রতি সমর্থন করি। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার জন্য নির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আমরা এ বিষয়ে সচেতন আছি।’
এর আগে নানা অভিযোগে গত বছরের ৭ অক্টোবর হাফিজুল ইসলামের বরখাস্তের দাবিতে আন্দোলনে নামেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীরা লিখিতভাবে উপাচার্যের কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্তত ২৭টি অভিযোগ তুলে ধরেন এবং মৌখিকভাবে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তাঁকে অপসারণের দাবি জানান। অভিযোগ তদন্তে ৮ অক্টোবর পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটির কাছেও অভিযোগগুলো জমা দেন শিক্ষার্থীরা।