Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > খুলনা

ইবি ছাত্রীকে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করা মোবাইল ফোন উদ্ধারে পুলিশের কাজ শুরু

ইবি প্রতিনিধি

ইবি ছাত্রীকে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করা মোবাইল ফোন উদ্ধারে পুলিশের কাজ শুরু

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নবীন এক ছাত্রীকে নির্যাতনের ভিডিও ধারণের ঘটনায় হালিমা খাতুন উর্মীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, গত ৬ মার্চ হাইকোর্টের আদেশের কপি পাওয়ার পর যতগুলো নির্দেশনা রয়েছে, সবগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এরই মধ্যে মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর লিখিত চিঠি দিয়েছেন।

পরে থানা থেকে ওই শিক্ষার্থীর বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু ৭, ৮, ৯ এবং আগামী ১০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ওই শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র এবং মোবাইল ফোন নম্বরসহ কিছু তথ্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। আগামী শনিবার একাডেমিক শাখা থেকে সব তথ্য নিয়ে পুলিশকে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ইবি থানার ওসি আননূর যায়েদ বিপ্লব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের চিঠি পাওয়ার পরে আমরা মোবাইল ফোনটি উদ্ধারে কাজ করছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আরও কিছু তথ্য চেয়েছি।’

এদিকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার এবং ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা সিসিটিভি ফুটেজগুলো উদ্ধারের প্রক্রিয়ায় হল প্রশাসন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। ফুটেজ সরবরাহে ব্যর্থতায় আলাদা করে তদন্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ৬ মার্চ হাইকোর্ট ফুলপরীর ওপর নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্ট বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার, সুপারিনটেনডেন্ট ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনাপত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনাপত্রের পূর্ণাঙ্গ কপি আমরা হাতে পেয়েছি। কপি পেয়ে রেজিস্ট্রারকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। ক্যাম্পাস খুললে অফিসিয়ালি বিষয়টি জানা যাবে। আদালতের নির্দেশ পালনে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফুলপরীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গত ১ মার্চ সানজিদা অন্তরাসহ পাঁচ অভিযুক্তকে ক্যাম্পাস থেকে সাময়িক বহিষ্কার, হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহার, ভুক্তভোগী ফুলপরীর নিরাপত্তা ও তাঁর পছন্দের হলে ওঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশে সেদিনই হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করে প্রশাসন।

 এ ছাড়া গত ৪ মার্চ পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কেন তাঁদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে তাঁদের হল ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া ফুলপরীকে তাঁর পছন্দের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে সিটের ব্যবস্থাও করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গ্যাস পাইপলাইন রুট পরিবর্তনের প্রতিবাদ, খুলনা অচল কর্মসূচির হুমকি

কুমিল্লায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৬

‘কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে’

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: চার আসামি কারাগারে

দাম না পেয়ে খালে ফেলা হলো পাকা টমেটো

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: ভগ্নিপতিসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা

ভিজিএফের কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নেতা নিহত

চৌগাছায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালাল ছেলে

ইবিতে চার দশকেও নারী শিক্ষার্থীরা ‘বৈষম্যর শিকার’

সাতক্ষীরায় মাছের ঘের পাহারাদারের লাশ মিলল পাশের ধানখেতে