হোম > সারা দেশ > খুলনা

মেয়ের জিম্মায় বাড়ি ফিরলেন রহিমা বেগম

খুলনা প্রতিনিধি

এজাহারকারী মেয়ে আদুরি খাতুনের জিম্মায় রহিমা বেগমকে (৫২) হস্তান্তর করেছেন আদালত। পরে খুলনা মহানগরীর বয়রা এলাকায় ছোট মেয়ে আদুরির বাসায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। 

আজ রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে আদালত থেকে বেরিয়ে ইজিবাইকযোগে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। 

এর আগে রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ ২২ ধারায় বিচারক আল আমিনের কাছে জবানবন্দি দেন তিনি। 

এ সময় বাদীপক্ষের আইনজীবী আফরুজ্জামান টুটুল বলেন, ‘ভিকটিম আদালতকে তাঁর অপহরণের বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, জমিজমা নিয়ে যাদের সঙ্গে বিরোধ ছিল, মূলত তারাই তাঁকে অপহরণ করে চট্টগ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে থেকে তিনি ফরিদপুরে আসেন। মামলায় যাদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৪ / ৫ জন অপহরণের সঙ্গে জড়িত। জবানবন্দি প্রদান শেষে চিফ মেট্রোপলিটন আদালত-৪-এর বিচারক সারোয়ার আহমেদ তাঁকে তাঁর মেয়ে এজাহারকারী আদুরি খাতুনের জিম্মায় হস্তান্তর করেন।’ 

আইনজীবী বলেন, ‘জবানবন্দিতে অপহরণ করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন রহিমা। তাঁকে চারজন লোক উঠিয়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর কাছ থেকে জোর করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এরপর ১ হাজার টাকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।’ 

আদালত থেকে বেরিয়ে রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান বলেন, ‘আমার মাকে জীবিত ফিরে পেয়েছি। এই মুহূর্তে আমার চেয়ে সুখী আর কেউ নেই। ইনশাআল্লাহ আমার মায়ের হাত এক মুহূর্তের জন্যও আমি ছাড়ব না।’ 

এর আগে নিখোঁজের প্রায় এক মাস পর গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুসের বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করা হয়। রহিমা বেগমকে নিয়ে পুলিশের একটি টিম রাত ২টার দিকে দৌলতপুর থানায় পৌঁছায়। 

আজ সকাল ১১টার দিকে পুলিশ রহিমা বেগমকে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করে। দুপুরে তাঁকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। 

গত ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিকপাড়ার নিজ বাসা থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। স্বামী ও ভাড়াটিয়ারা নলকূপের পাশে ঝোপঝাড়ে তাঁর ব্যবহৃত ওড়না, স্যান্ডেল ও বালতি দেখতে পান। সেই রাতে মাকে খুঁজতে আত্মীয়স্বজন, আশপাশসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেন সন্তানেরা। 

রহিমার ছয় সন্তান কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কখনো মাইকিং, কখনো আত্মীয়স্বজনদের দ্বারস্থ হয়েছেন। সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনের পর মাকে খুঁজে পেতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানায় মামলাও করেন। মামলার বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পিবিআই তদন্তের ভার পায়। ১৭ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানা থেকে মামলাটি পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়। 

এ মামলায় এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন—খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, রহিমার দ্বিতীয় স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, পলাশ ও জুয়েল এবং হেলাল শরীফ। 

আরও পড়ুন:

তিন সেতু-কালভার্টে ধস লাখো মানুষের দুর্ভোগ

রাজনৈতিক সরকার ছাড়া সংস্কার টেকসই হবে না: সিজিএস সংলাপে বক্তরা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা: প্রেস সচিব

সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার

বাগেরহাটে অস্ত্র–গুলিসসহ ২ যুবক গ্রেপ্তার

নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখাচ্ছে খুবি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ ‘সমৃদ্ধি’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আজও কাঁদছেন ছাব্বিরের মা

২৬টি জুট মিল চালুর দাবিতে খুলনায় শ্রমিক সমাবেশ

দৌলতপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

পাউবোর পাইপ চুরি, গ্রেপ্তার ৩

সেকশন