যশোর প্রতিনিধি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ১০ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ‘স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যায়িত করে তাঁদের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে আজ শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা।
এ ছাড়া এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিগত সরকারের আমলে যবিপ্রবিতে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ‘দুর্নীতিগ্রস্ত ও ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছেন’ তাঁদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করার সময়সীমা বেঁধে (আলটিমেটাম) দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার এমদাদুল হক, উপরেজিস্ট্রার (স্ট্রেট শাখা) জাহাঙ্গীর আলম, উপপরিচালক (পরিকল্পনা উন্নয়ন) ড. আব্দুর রউফ, জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক আব্দুর রশিদ অর্ণব, নিরাপত্তা কর্মকর্তা মুন্সী মনিরুজ্জামান, সেকশন অফিসার সাইফুর রহমান, সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সরদার ফরিদ আহমেদ, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি শওকত হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক কে এম আরিফুজ্জামান সোহাগ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘দেশ সংস্কার হলেও এই যবিপ্রবি এখনো সংস্কার হয়নি। আওয়ামী লীগের দোসরদের ক্ষমতায় রেখে কোনোভাবেই যবিপ্রবি সংস্কার করা যাবে না। তাই সেসব দোসরের অপসারণ ও তাঁদের সব অপকর্ম তদন্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। আমরা বিগত সময়ের ১০ জন দোসরের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে দিয়েছি। তারা যদি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব দোসরকে অপসারণ ও আইনের আওতায় না আনে, তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনে নামবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিব আহমেদ শান, ফিজিওথেরাপি বিভাগের শিক্ষার্থী ফরিদ হাসান, ফিশারিস অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের আল মামুন লিখন, পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের হান্নান হোসেন, সজীব হোসেন প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যবিপ্রবির উপাচার্য মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নামের তালিকা ও স্মারকলিপি দিয়েছে। তালিকাটি গ্রহণ করেছি। অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’