যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি গবেষণারত তানজিলুর রহমানের মা আনিছা সিদ্দিকা ৮ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
আজ সোমবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম আশিকুর রহমান তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেন। আজ সন্ধ্যায় আনিছা সিদ্দিকা খুলনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান।
আনিছা সিদ্দিকার স্বামী আলমগীর শিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২০ আগস্ট সকালে নগরীর বয়রা হাজী ফয়েজ উদ্দিন সড়কের বাবার বাড়ি থেকে আনিছা সিদ্দিকাকে গ্রেপ্তার করে নগরীর খালিশপুর থানা পুলিশ।
আজ বিকালে আনিছা সিদ্দিকার আইনজীবী মনিরুল ইসলাম পান্না বলেন, ‘গত ২২ আগস্ট মহানগর হাকিমের আদালতে প্রথম জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু জামিন পাওয়া যায়নি। গত ২৪ আগস্ট আবারও জামিনের আবেদন করা হলে তাও নাকচ করেন আদালত। ২৭ আগস্ট খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পুনরায় জামিনের আবেদন করা হলে ৩১ আগস্ট নথি প্রাপ্তি সাপেক্ষে শুনানির জন্য দিন ধার্য হয়।’
আজ আদালতে নথি আসায় আইনজীবী পুনরায় শুনানির আবেদন করেন। মহানগর দায়রা জজ আদালতের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম আশিকুর রহমান জামিন শুনানি করেন। শুনানিতে বয়স বিবেচনায় এবং আর কোনো মামলা না থাকায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
আনিছা সিদ্দিকার স্বামী আলমগীর শিকদার বলেন, ‘সন্ধ্যায় আনিছা সিদ্দিকা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন বয়রার বাসায় অবস্থান করছেন।’
তাঁকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে খালিশপুর থানার ওসি মনিরুল গিয়াস সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্র করার জন্য সমবেত হওয়া আনিছা সিদ্দিকাসহ মোট তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।’
তবে অনেকে ধারণা করেন, যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণারত ছেলে ফেসবুকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের প্রয়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা ও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সমালোচনা করে পোস্ট দিয়েছেন। এই কারণেই তাঁর মা আনিসা সিদ্দিকাকে (৫৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই বিষয়টি উল্লেখ করেন তার নিন্দাও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।