চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নিখোঁজের ৫ দিন পর মাথাভাঙ্গা নদী থেকে পপি খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার ভাংবাড়িয়া গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদী থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় স্বামীসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত পপি খাতুন একই উপজেলার নগরবোয়ালিয়া গ্রামের তুহিন আলীর স্ত্রী।
নিহত গৃহবধূর বাবা নেকবার ভোলার অভিযোগ করে বলেন, ‘সম্প্রতি বিদেশ যাওয়ার জন্য তুহিন আমাদের কাছে টাকা চায়। আমরা টাকা দিতে না পারায় পপিকে মারধর শুরু করে সে। গত বুধবার সন্ধ্যায় স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় পপি। তাঁকে খুঁজে না পেয়ে গত রোববার রাতে আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিই। পরে সোমবার বিকেলে জানতে পারি পপির মরদেহ নদীর পানিতে ভাসছে। তাঁর গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।’
আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, বিকেলে ভাংবাড়িয়া গ্রামের ফেরিঘাট কারিগরপাড়ার মাথাভাঙ্গা নদীতে এক নারীর মরদেহ ভাসছে-এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ওই ঘটনায় নিহত পপির স্বামী তুহিন ও এক প্রতিবেশীকে আটক করা হয়েছে।