কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া পাঁচ শিশুর মধ্যে ছেলে শিশুসহ তিনজন মারা গেছে। আজ বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলে শিশুটি মারা যায়, এর পর বিকেলে আরও দুই কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়।
এর আগে গত বুধবার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে অস্ত্র প্রচার ছাড়াই একসঙ্গে পাঁচ শিশু সন্তানের জন্ম দেন সাদিয়া খাতুন (২৪) নামের এক মা। পাঁচ শিশুর মধ্যে ছেলে একজন এবং মেয়ে চারজন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন জানান, প্রসূতি সাদিয়া খাতুন গর্ভধারণের পাঁচ মাসের মাথায় জন্ম নেওয়ায় শিশুদের ওজন কম ছিলো। বর্তমানে মা সুস্থ থাকলেও অন্য ২ শিশু ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি বলেন, নবজাতকেরা প্রথম থেকেই ঝুঁকিতে ছিল। এখনো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ওজন কম হওয়ার কারণে ১ ছেলে এবং ২ মেয়েসহ তিন নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। আমরা বাকি দুই শিশুকে সুস্থ করে তোলার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
শিশুদের বাবা সোহেল রানা বলেন, আমার তিনটি সন্তান মারা গেছে। খুবই কষ্ট লাগছে। আর বাকি দুই শিশু ঝুঁকিতে আছে। স্ক্যানো ওয়ার্ডে তাদের অক্সিজেন চলছে। শিশুর ওজন কম হওয়ায় ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেছেন চিকিৎসক।
প্রসঙ্গত কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের কলেজপাড়া এলাকার সোহেল রানার স্ত্রী সাদিয়ার গর্ভধারণের পাঁচ মাসের মাথায় হঠাৎ প্রসবব্যথা ওঠে। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কোন ধরনের অস্ত্রোপচার ছাড়াই একসঙ্গে পাঁচ নবজাতকের জন্ম দেন।