মাসুদুর রহমান মাসুদ, ঝিকরগাছা (যশোর)
ষাঁড় গরুটির গায়ের রং কালচে-খয়েরি। তবে শরীরজুড়ে একটু লালচে ভাবও আছে। আদর করে নাম রাখা হয়েছে ‘বাহাদুর’। গরুটির বয়স এখন দুই বছর দুই মাস। কোরবানি উপলক্ষে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে একে। ষাঁড়টিকে দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করছে ঝিকরগাছা উপজেলার নায়ড়া গ্রামের পূর্বপাড়ায় আমিনুর রহমানের বাড়িতে।
বাহাদুরের ওজন আনুমানিক ৮৮০ কেজি। এবারের কোরবানির ঈদে যশোরের ঝিকরগাছা অঞ্চলে আকার ও ওজনেই এটি সবচেয়ে বড় ষাঁড় বলে দাবি খামারির। সাড়ে পাঁচ ফুট উচ্চতার ষাঁড়টির দাম হাঁকা হয়েছে ১৪ লাখ টাকা।
নাদুসনুদুস ষাঁড়টি বুলগেরিয়ান জাতের। গতকাল রোববার পূর্বপাড়ায় আমিনুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল আশপাশের মানুষ আসছে বাহাদুরকে দেখার জন্য। এদেরই একজন ইসানূর রহমান। তিনি বলেন, ‘এত বড় গরু এলাকার কোনো খামারে এই প্রথম। এ কারণে ষাঁড়টি দেখতে এসেছি।’
এ সময় দেখা যায়, খামারির গোয়ালঘরে মোটা দড়িতে বেঁধে রাখা হয়েছে বাহাদুরকে। পাশেই বাঁধা এর মা গাভিটিসহ আরও ১১টি গরু। খামারি আমিনুর রহমান বলেন, ‘বেশি নাদুসনুদুস হওয়ার কারণে হাটে তোলা কষ্টসাধ্য হওয়ায় খামার থেকেই গরুটি বিক্রির চেষ্টা করছি। কৃষিকাজের পাশাপাশি বাড়িতে খামার করেছি। ১৫ বছর ধরে গরু পালন করি।’
খামারি আমিনুর আরও বলেন, ‘পরিবারের সন্তানের মতোই যত্নে পালন করি এদের। ষাঁড়টিকে দুই বছর ধরে নেপিয়ার ঘাস, খড়, ছোলা, ধানের কুঁড়া ও ভুসি খাওয়ায়ে প্রাকৃতিক উপায়ে বড় করেছি। কোনো রেডিফিট খাওয়াইনি। মোটাতাজাকরণের কৃত্রিম কোনো পদ্ধতি বা হরমোনাল ইনজেকশন প্রয়োগ করিনি। স্থানীয় ব্যাপারীরা ১০ লাখ টাকা দাম বলে গেছেন। আমি দাম চেয়েছি ১৪ লাখ টাকা।’
উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু গোবিন্দ চ্যাটার্জি বলেন, ‘শুনেছি আমিনুরের গরুটি এই অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু। আমিনুর একজন ভালো গরুর খামারি।’