জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লাইসেন্স বিধিমালা সংশোধনসহ বিভিন্ন দাবিতে দুই দিনের কর্মবিরতির প্রথম দিন আজ সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্য। তবে, বন্দর দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক আছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাইসেন্স বিধিমালা-২০২০ সংশোধনের জন্য কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অনুরোধ জানালেও তাঁরা আমলে নেয়নি। অ্যাসোসিয়েশনের সবার মতামত নিয়ে যৌক্তিক দাবি আদায়ে এই কর্মবিরতির ডাক দেয়। কাস্টমসের সামনে সিঅ্যান্ডএফ সদস্যরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়ে এ কর্মবিরতি পালন করছেন। বেনাপোল ছাড়াও দেশের সব কটি বন্দরে এ কর্মবিরতি চলছে।’
রপ্তানি পণ্য বহনকারী ট্রাকচালক আব্দুর রহিম বলেন, ‘কর্মবিরতির কারণে বেনাপোল বন্দরে প্রায় শতাধিক ট্রাক জরুরি রপ্তানি পণ্য নিয়ে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে।’
এর আগে, লাইসেন্স বিধিমালা সংশোধনের দাবিতে ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি দুই দিনের কর্মবিরতির ডাক দেয় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ সিঅ্যান্ডএফ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনের সংশোধনী প্রস্তাবে বলা হয়েছে, শুল্ক মূল্যায়ন বিধিমালা-২০০০ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এইচএস কোড ও সিপিসি ভুলের কারণে জরিমানা আরোপ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ ও বিধিবিধান বাতিল করতে হবে। অযৌক্তিক কারণে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে লাইসেন্স বিধিমালা ও কাস্টমস আইন ১৯৬৯-এর ধারা ২০৯ মোতাবেক কাজ না করে এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ বা শুনানির সুযোগ না দিয়েই এআইএন লক বা লাইসেন্স বাতিল করা বা কোনো দোষ প্রমাণিত না হলেও জরিমানা আরোপের মতো কাজ বন্ধ করতে হবে। আমদানিকারকদের কাছে পাওনা অনাদায়ি থাকার কারণে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স স্থগিত রাখা যাবে না।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, আমদানি-রপ্তানি পণ্য চালান খালাসকালে কায়িক পরীক্ষা সম্পাদিত হয়নি অথবা প্রথমবার কায়িক পরীক্ষা সম্পাদনকালে কোনো পণ্য চালানে ঘোষণাবহির্ভূত পণ্য পাওয়া গেলে সে ক্ষেত্রে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘোষণার অভিযোগ উত্থাপন করা যাবে না। শুধু আমদানিকারক ও শিপিং এজেন্টের বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘোষণার অভিযোগ উত্থাপন ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।