Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > খুলনা

বাবা-মা হারিয়ে দিশেহারা

ফারুক হোসাইন রাজ, কলারোয়া সাতক্ষীরা

বাবা-মা হারিয়ে দিশেহারা

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় চার মাসের ব্যবধানে দু জনে মারা যাওয়ার পর বারো বছর বয়সী শিশু কন্যা রুমা খাতুন ও আট বছরের শিশু তাহেরা খাতুন মানবেতর জীবনযাপন করছে ৷ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত তাদের বাবা এবং ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মা মারা যান।

বাবার রেখে যাওয়া এক শতক জায়গার ওপর ছোট্ট একটা বাড়ি ছাড়া  চলার মতো কোনো সম্পদ প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্য নাই বলে জানিয়েছেন শিশু দুটির বৃদ্ধ নানি আছিয়া খাতুন ৷

নানি আছিয়া খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, গেল পয়লা আষাঢ় তাঁর জামাই অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। সে শোকের মধ্যে আজ ২০ দিন হলো মেয়েও মারা গেছেন ৷ অসহায় পরিবারে আয়ের কোনো মানুষ না থাকায় তাঁদের রেখে যাওয়া দুই শিশু কন্যা সন্তানকে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে কোনোরকমে দিন পার করছেন তিনি ৷ বড় মেয়ে রুমা ছোট বোনকে নিয়ে আগে গ্রাম ঘুরে যা পেত তা দিয়ে অসুস্থ বাবা মায়ের কোনোরকম ওষুধ খাওয়ানোটা হতো। এখন দিনের অধিকাংশ বেলা না খেয়ে দিন কাটে ৷ ঠিকমতো তাদের খাওয়াতে  পারছেন না। আবার অর্থের অভাবে লেখাপড়াও প্রায় বন্ধ হয়ে উঠেছে ৷

সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সমাজের বিত্তবান মানুষেরা এগিয়ে এলে সমাজের আর পাঁচটা স্বাধীন চিন্তামুক্ত শিশুদের মতো লেখা পড়া করে রুমা ও তাহেরা বড় হতে পারত ৷

শিশু রুমা খাতুন জানায়, ৩০ কেজির একটা চালের কার্ড ছিলো তার মায়ের নামে সে কার্ডটাও থাকবে কিনা সে জানে না ৷

প্রতিবেশী খাদিজা খাতুন বলেন, খুব গরিব মানুষ ও। বাবা মা মারা যাওয়ার পর থেকে খুব কষ্টে কাটছে ওদের সংসার। ভ্যান চালিয়ে আমাদের যা রোজগার করেন তা থেকে যথা সম্ভব সহযোগিতা করেন তাঁরা ৷

হেলাতলা গ্রামের ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানি তবে সাম্প্রতিক ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের জন্য ব্যস্ততার কারণে সময় দিতে পারিনি। তাদের ভিজিডি ৩০ কেজির চালের যে কার্ড দেওয়া আছে সেটা সরকার যত দিন অসহায় মানুষকে দেবে তারও তত দিন পাবে। তবে তারা কোনো সহযোগিতার জন্য এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব ৷

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরে আলম নাহীদ বলেন, মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে ছোট্ট দুই শিশুর মা-বাবা হারানোর ঘটনাটি যতটা হৃদয় বিদারক তার থেকে বেশি দুঃখজনক আয়ের কোনো ব্যক্তি না থাকায় খাদ্যের অভাবে তাদের দ্বারে দ্বারে ছুটে বেড়ানোর ঘটনা ৷ সমাজসেবা দপ্তর থেকে তাদের যথাসম্ভব সহযোগিতা করা হবে। তবে সমাজের বিত্তশালী মানুষরা এগিয়ে এলে আবারও স্বচ্ছলতা ফিরে পাবে অসহায় এ পরিবারটি ৷

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমি নুল ইসলাম লাল্টু বলেন, অল্প বয়সে দুটি শিশু মা-বাবাকে হারিয়েছে। এখন তাদের স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠার সময়, সমাজের মানুষ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলে তাদের আর খাওয়া পরা বা বেড়ে ওঠার জন্য কষ্ট পেতে হবে না। তারা চিন্তামুক্ত ভাবে আবারও স্কুলে যেতে পারবে ৷ পাশাপাশি উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওষুধ নেই, সংকট লোকবলেরও

তক্তা দিয়ে চিত্রা নদী পারাপার

ইউএনও দপ্তরের নাজিরকে মারপিট, থানা যুবদলের আহ্বায়ক বহিষ্কার

যশোরে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ, আহত ৩

খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার

মাগুরায় শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ: বিক্ষুব্ধ জনতার থানা ঘেরাও, সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে ছত্রভঙ্গ

রমজানের প্রথম জুমায় ষাটগম্বুজ মসজিদে মুসল্লিদের ঢল

খুলনায় চালকের গলা কেটে ইজিবাইক ছিনতাই

বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ‘ধর্ষণের’ শিকার শিশু, শ্বশুর ও স্বামী পুলিশ হেফাজতে

সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে ‘পরকীয়া’, খালুর ২ চোখ তুলে নেওয়ার চেষ্টা ক্ষুব্ধ যুবকের