সুন্দরবনের দুবলার চর থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বনদস্যু দয়াল বাহিনীর তিন ডাকাতকে আটক করেছেন জেলেরা। পরবর্তীতে আটক ডাকাতদের হেফাজতে নেয় কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন, মোংলা।
আটক ব্যক্তিরা হলেন— খুলনার মো. রহমত মোড়ল (২৬), সাতক্ষীরার মো. রবিউল মোল্লা (২৬) ও বাগেরহাটের মো. জাহাঙ্গীর শেখ (৫১)। এদের মধ্যে ডাকাত সদস্য মো. রবিউল মোল্লার কাছে বাবু গাজী নামে একটি ভারতীয় আধার কার্ড পাওয়া গেছে।
কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক বলেন, দুর্ধর্ষ ডাকাত দয়াল বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনের দুবলারচরে নিরীহ জেলেদের ওপর আক্রমণ করে। জেলেরা আত্মরক্ষার্থে ডাকাতদের প্রতিহত করে এবং দুবলার চরের কোস্টগার্ড স্টেশনে সাহায্য চেয়ে ফোন করে। হাতাহাতির একপর্যায়ে জেলেরা জাল দিয়ে ডাকাতদের আটকে ফেলে। পরে কোস্টগার্ড উপস্থিত হয়ে ডাকাতদের আহত অবস্থায় আটক করে।
তিনি আরও বলেন, আটক ডাকাতদের কাছ থেকে একটি বিদেশি একনলা বন্দুক ও ৩৬ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দ সব আলামত এবং আটকদের পরবর্তী আইনি ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম চলছে।
জেলে শাহজালাল সানা বলেন, ‘গত রোববার রাত ৮টার দিকে সাগরে জোয়ারের পানিতে জাল ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। তখন একটি নৌকায় অস্ত্র হাতে ১১ জন ডাকাত আমাদের কাছে আসে। তারা নিজেদের মজনু বাহিনীর লোক পরিচয় দিয়েছিল। ডাকাত সরদারের নির্দেশে চার দস্যু আমাদের নৌকায় এসে ওঠে। তাদের কাছে দুটি বন্দুক ছিল। কিছুক্ষণ পরে কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ৯ জেলেকে জিম্মি করে নিয়ে আসে তারা।’
শাহজালাল আরও বলেন, ‘ডাকাতের হাতে জিম্মি সবাই আমাদের পরিচিত ছিল। সবাই মিলে ডাকাতদের রুখে দাঁড়াই। তিন দস্যুকে বেঁধে সুন্দরবনের দুবলারচরের কাছাকাছি পৌঁছাতে রাত তিনটা বেজে যায়। তখন মুঠোফোনে কোস্টগার্ডকে বিষয়টি জানাই।’
দুবলার চরের আরেক জেলে আবদুর রউফ বলেন, জেলেদের জিম্মি করেছিল দস্যুরা। শাহজালাল সানাসহ কয়েকজন জেলের সাহসিকতায় দস্যুরা ধরা পড়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম বলেন, তিন দস্যুকে জেলেরা ধরাশায়ী করেছে। তাঁরা কোস্টগার্ডের হেফাজতে রয়েছেন।