জঙ্গি, সন্ত্রাস, মাদক মামলার আসামিসহ ১২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানা-পুলিশের কাছে ট্রাভেল পারমিটে তাঁদের ফেরত পাঠায় ভারতীয় পুলিশ।
এর আগে ২৭ ডিসেম্বর ভারত ফেরত পাঠায় ময়মনসিংহে ত্রিশালে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ হত্যা মামলার আসামি জঙ্গি রহমতউল্লাহ ওরফে জাহিদ ওরফে বুরহান ওরফে সুরাত আলীকে।
আজ ফেরত আসা ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন বিভিন্ন মামলার আসামি। সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ তাঁদের গ্রহণ করেছে। আর ভালো কাজের সন্ধানে যাওয়া ৯ অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে এক এনজিও আইনী সহয়তা দিতে তাদের জিম্মায় নিয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজন নারী ও বাকি সাতজন পুরুষ।
ফেরত আসা আসামিরা হলেন—খুলনা পাইকগাছার কাশিম নগরের মোসলেম সর্দারের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম, নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আয়নাল হক খন্দকারের ছেলে ওমর ফারুক এবং গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার রমজান আলীর ছেলে সুমন সরকার।
রিয়াজুল ইসলাম ও ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে নরসিংদীর রায়পুরায় পুলিশকে মেরে আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগে ২০২২ সালে মামলা হয়। অপরজন মাদক মামলার পলাতক আসামি মামুন ওরফে সুমন সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গাজীপুর টঙ্গী পূর্ব থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা ছিল।
বেনাপোল পোর্ট থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক রাসেদুজ্জামান জানান, ফেরত আসা আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে ছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসন্ধানে বাংলাদেশ সরকার ভারতে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে দুই দেশের সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে তাঁদের ফেরত আনা হয়।