বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও ছয় পুলিশসহ ২৫ জন আহতের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় নিহতের ছেলে মামুন মোল্লা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। অপরদিকে মোল্লাহাট থানার উপপরিদর্শক মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন।
মামুন মোল্লার মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আর পুলিশের মামলায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৪৫০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, হত্যা মামলায় মোল্লাকুল এলাকার শাহজাহান খাকি, লতিফা বেগমসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর পুলিশ আহতের মামলায় কাজী গ্রুপের নেতা লায়েক কাজী ও খাকি গ্রুপের নেতা শাহজাহান কাজীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সংঘর্ষে নিহত পান্না মোল্লার ময়নাতদন্ত শেষে এদিন রাতেই মোল্লারকুল এলাকায় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। তবে এলাকায় এখনো থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সংঘর্ষে ব্যবহৃত ইট ও লাঠিসোঁটা এখনো পড়ে রয়েছে ঘটনাস্থলে। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় এখনো পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, হত্যা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার মোল্লারকুল এলাকায় লায়েক কাজী ও শাহজাহান খাকির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। এতে পান্না মোল্লা নিহত এবং ৬ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। আহতরা মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলে আসছিল। এর আগেও ২০২১ সালে একই এলাকায় কাজী ও খাকি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনা ঘটেছিল।