বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
দীর্ঘ পাঁচ মাস অপেক্ষার পর সৌদি থেকে ফিরেছে যশোরের শার্শার যুবক রুবেলের মরদেহ। আজ শনিবার বিকেলে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি শার্শার কায়বা ইউনিয়নের বাগুড়ী গ্রামে তাঁর বাড়িতে পৌঁছায়।
এর আগে গত ২৬ জুলাই রুবেলের মরদেহ হিসেবে আসে কিশোরগঞ্জের এক যুবকের লাশ। পরে সেই মরদেহ পাঠানো হয় কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে। এরপর দীর্ঘদিন শুধু মরদেহের অপেক্ষায় ছিল পরিবার। মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোমাত্রই শুরু হয় স্বজনদের মাতম। আহাজারিতে থমথমে হয়ে ওঠে চারপাশের পরিবেশ।
নিহত রুবেল হোসেন ওই এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে। পরে বাগআঁচড়া কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাইবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে রুবেলের লাশ তাঁর পরিবার হাতে পেয়েছে।’
চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা জানান, পরিবারের অভাব ঘোচানোর স্বপ্ন নিয়ে দেড় বছর আগে সৌদি আরবে যান রুবেল হোসেন। সেখানে একটি মাদ্রাসার পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। গত কোরবানি ঈদের সময় ওই মাদ্রাসা দুই মাসের জন্য ছুটি হয়ে যায়। ছুটির কারণে মাদ্রাসায় কাজ না থাকায় রুবেল তার এক পরিচিতজনের সঙ্গে অন্য জায়গায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার কাজে যুক্ত হয়েছিলেন। ওই সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে কাজ করতে গিয়ে মারা যান রুবেল।
পরে নিহত রুবেল হোসেনের লাশ বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২৬ জুলাই দেশে আসে। কিন্তু কফিন খুলে তাঁর পরিবার দেখেন কফিনের ভেতরে রুবেলের পরিবর্তে অন্য এক বাংলাদেশির মরদেহ রয়েছে। ওই লাশ ছিল কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার জবডল গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে মোজাম্মেল হকের।
এরপর থেকে রুবেল হোসেনের মরদেহ আসার অপেক্ষায় ছিল পরিবার। অবশেষে বিভিন্নভাবে তদবিরের পর শনিবার রুবেলের মরদেহ স্বজনেরা ফেরত পেয়ে অপেক্ষার পালা শেষ হয়।