চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারামারির ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় পুলিশ রোগীর দুই ছেলেকে আটক করেছে। গতকাল শনিবার সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নগরীর দৌলতপুর পাবলা কারিকর পাড়ার মাওলানা আ. রাজ্জাকের স্ত্রী কেয়ারুন বেগম দীর্ঘদিন নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। শনিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন রাতে খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। রাতে একাধিকবার কর্তব্যরত চিকিৎসককে ডাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা দিতে আসেনি বলে অভিযোগ করেন কেয়ারুন বেগমের ভাতিজা মামুন।
এদিকে রাত সাড়ে ৩টার দিকে কেয়ারুন বেগমের অবস্থা খারাপ হয়। এ সময় স্বজনেরা চিকিৎসককে একাধিকবার ডাকলেও তাঁরা আসেননি। এরপর কেয়ারুন নেসার মৃত্যু হয়। এরপর মৃতের স্বজনেরা উত্তেজিত হয়ে কামরুল ইসলাম নামের কর্তব্যরত এক চিকিৎসককে মারধর করেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান জানান, রাতে রোগীর স্বজনেরা কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কামরুল ইসলামকে মারধর করেন। এ অভিযোগে পুলিশ কেয়ারুন বেগমের ছেলে মো. মোস্তাকিম বিল্লাহ আটক করেছে। এ ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হক জানান, রাতে কেয়ারুন বেগম নামে এক নারী মারা যান। রোগীর স্বজনেরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালান। হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষ দুজনকে আটক রেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের থানায় নিয়ে আসে।