বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে মাছ ব্যবসায়ীর ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় পিকআপ চালকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার বিকেলে গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে নগদ ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন—মোল্লাহাট উপজেলার বড়গাওলা এলাকার মৃত সৈয়দ বিশ্বাসের ছেলে সুজন বিশ্বাস (৩০) এবং গাওলা এলাকার রুবেল ইসলাম বরকতের ছেলে মোহাম্মাদুল্লাহ শেখ ওরফে বাঁধন (১৮)।
মামলায় জানা গেছে, গত ২৮ জানুয়ারি মোল্লাহাট উপজেলার নাশুখালী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আশিষ কুমার মন্ডল যশোরের এমএমসি মাছের কোম্পানিতে পিকআপে করে মাছ সরবরাহ করেন। মাছ সরবরাহ শেষে ফিরে আসার সময় পিকআপ চালক সুজন বিশ্বাস ব্যাংক থেকে এমএমসি কোম্পানির পাঠানো ৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে তোলেন। পরে ফকিরহাটের ফলতিতা বাজারে পৌঁছালে আশিষ কুমার মন্ডলের ম্যানেজার রমেনকে নগদ ২ লাখ টাকা দেন সুজন।
অবশিষ্ট ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে পিকআপ চালিয়ে নাশুখালি বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন সুজন বিশ্বাস। পরে একটি অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে ব্যবসায়ী আশিষ কুমার মন্ডলকে জানানো হয়, পিকআপ চালক সুজন কেন্দুয়া জোড়া ব্রিজের কাছে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছে। তাঁর কাছ থেকে টাকা ছিনতাই হয়ে গেছে। আশিষ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুজনকে উদ্ধার করেন এবং থানায় মামলা করেন। টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় সুজনকেই সন্দেহ হয় ব্যবসায়ী আশীষ মন্ডলের।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ‘তদন্তে জানতে পারি ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে সুজন টাকাগুলো আত্মসাতের চেষ্টা করেছে। এর অংশ হিসেবে মোহাম্মাদুল্লাহ শেখ ওরফে বাঁধন ঢাকা থেকে মোল্লাহাট এসে টাকা নিয়ে আবার ঢাকায় চলে যায়। সুজনকে গ্রেপ্তারের পরে সে পুরো বিষয়টি স্বীকার করে। পরে তথ্য যুক্তির সহযোগিতায় গত বৃহস্পতিবার বাঁধনকে ঢাকায় তার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার ভাড়া বাসা থেকে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। অবশিষ্ট টাকা উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।