ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, ‘জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মীর কাসেম আলীসহ জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের জনশক্তিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, কারাগারে হত্যা করা হয়েছে। জুলুম-নির্যাতনের সর্বোচ্চ স্টিম রোলার চালানো হয়েছে ইসলামী শক্তির ওপর। তারপরও তারা এ দেশ থেকে পালায়নি। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা নেতা-কর্মীদের রেখে পালিয়েছেন। পলাতক সেই আওয়ামী শক্তিকে এ জাতি আর কোনো দিন গ্রহণ করবে না।’
আজ শনিবার দুপুরে বাগেরহাট স্বাধীনতা উদ্যানে জেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঞ্জুরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
শিবির সভাপতি আরও বলেন, ‘ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের জনশক্তি যখন রাজপথে মিছিল দিয়েছে, তখন তাদের গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন নাটক মঞ্চায়িত হতে দেখেছি। পড়ার টেবিল থেকে গ্রেপ্তার করে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে অসংখ্য নাটক মঞ্চায়িত করেছে। আজ সেই দিন শেষ, নতুন একটি অধ্যায় শুরু হয়েছে। ফ্যাসিবাদী শক্তি ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার সহযোগীরা ইসলামপন্থীদের ওপর অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়ে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছিল। সেই হাসিনা ও তার সহযোগীদের পাহাড়সম জুলুমের মসনদ ইসলামী ছাত্রশিবির ও এ দেশের ছাত্র-জনতা তছনছ করে দিয়েছে। তাদের এ দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।’
ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি নাজমুল হাসান সাইফের সভাপতিত্বে কর্মী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম, নায়েব আমির আব্দুল ওয়াদুদ, সেক্রেটারি শেখ ইউনুস আলী, সাবেক জেলা আমির মাওলানা মশিউর রহমান খান, শিবিরের কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক সফি উল্লাহ, ঢাকাস্থ বাগেরহাট ফোরামের সভাপতি ডা. আতিয়ার রহমান, শিবিরের জেলা সেক্রেটারি মোর্শেদ আলম প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ আব্দুল আলিম, শেখ মঞ্জুরুল হক ফাহাদ, হাফেজ সুলতান আহমাদ, শামসুজ্জামান, শেখ এনামুল কবির, আবদুল আউয়াল প্রমুখ।