ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে ইভিএমে ভোট দিতে বিড়ম্বনায় পড়তে দেখা গেছে বয়োবৃদ্ধদের। তবে নির্বাচনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই অঞ্চলের মানুষের জন্য ইভিএম পদ্ধতি নতুন হওয়ায় কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
ময়মনসিংহে একটি পৌরসভা, একটি ইউনিয়ন পরিষদ ও চারটি ইউনিয়নে সাধারণ সদস্যপদে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, হালুয়াঘাট পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনে ১০টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৯ হাজার ৫৪ জন। আর প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে ৪ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৮ জন এবং সংরক্ষিত সাধারণ সদস্য পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণে তৎপর রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সরেজমিনে হালুয়াঘাট শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় ষাটোর্ধ্ব হাজেরা খাতুনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেশিনে ভোট দিয়েছি। এটা নতুন অভিজ্ঞতা। তবে ভোট কোথায় দিলাম সেটা খুব বুঝতে পারিনি। ভোট দিতে আরেকজন আমাকে সহযোগিতা করেছে। মেশিন নাকি আটকে গেছিল, তাই ভোট দিতে ১০ মিনিটের মতো সময় লাগছে।’
অন্যদিকে হালুয়াঘাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দেখা যায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভোটাররা। সেখানে রয়েছেন বিশ্বনাথ পাল নামের এক ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি প্যারালাইজডে আক্রান্ত। তিনি ভোট দিতে এসেছেন তাঁর ভাই বিষুদেবকে সঙ্গে নিয়ে।
বিশ্বনাথ পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ দেখে খুব ভালো লেগেছে। ভোট দেওয়ার প্রতি মানুষের আগ্রহও বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক। সকালে ১ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দিয়েছি। এবার প্রথম ইভিএমএ ভোট দিলাম। ভোট দিতে কিছুটা সময় লাগলেও পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে ভালো লাগছে। আমি চাই নির্বাচন সুষ্ঠু হোক।’
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহাম্মেদ ভূঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। র্যাব পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। ভোটে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’