নান্দাইলে প্রত্যাহার হওয়া ওসি ফরিদ আহমেদ পাওনাদারদের টাকা ফেরত দিচ্ছেন বলে বেশ কয়েকজন পাওনাদার জানিয়েছেন। নান্দাইল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুজাহিদুল ইসলামও এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকার অনলাইনে প্রত্যাহার হওয়া ওসির খোঁজে থানায় পাওনাদারদের ভিড়। এই সংবাদ প্রকাশিত হলে ওসি ফরিদ আহমেদ বেশ কয়েকজনের টাকা ফেরত দেন। ফরিদ আহমেদ নান্দাইলে না এলেও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ এলাকায় মহাসড়কে দাঁড়িয়ে পাওনাদারদের ডেকে নিয়ে টাকা ফেরত দেন।
পাওনাদার কাপড়ের ব্যবসায়ী মো. মোফাজ্জল হোসেন খান রেনু জানান, ওসি ফরিদ আহমেদ ফোন করে ঈশ্বরগঞ্জের মাইজবাগ এলাকায় পাওনা ১ লাখ ৪ হাজার ২৫০ টাকা ফেরত দিয়েছে। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক দোকানের ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন তাঁর বকেয়া ১১ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছে বলেও জানান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহমেদকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। পরে শুক্রবার ভোরে সবকিছু গুছিয়ে থানা ছেড়ে তড়িঘড়ি করে সদরে চলে যান। তাঁর প্রত্যাহারের খবর পেয়ে স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা থানা ফটকে এসে ভিড় জমান। তাঁদের দাবি ছিল, ওসি ফরিদ তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন জিনিস বাকিতে কিনে আর টাকা পরিশোধ করেননি।
এ ব্যাপারে নান্দাইল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি মো. মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওসি ফরিদ আহমেদ অনেকের টাকা পরিশোধ করেছেন। বাকিদের টাকা দ্রুত পরিশোধ করবেন।