জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যান ফারহানা সোমাকে সব রাজনৈতিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর জানানো হয়।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শনিবার জামালপুর শহরের কাচারীপাড়া এলাকার ঠিকাদার ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ কর্মী সাইদ বিশ্ব ইজতেমায় যান। এই সুযোগে যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফারহানা সোমার নেতৃত্বে লোকজন গিয়ে তাঁর বাড়ি দখল করে নেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হলে জনমনে আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ কারণে জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতিসহ সব রাজনৈতিক পদ থেকে ফারহানা সোমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আবু সাইদের মেয়ে শারমীন সুলতানা ছন্দা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বাবা বিশ্ব ইজতেমায় গেলে ফারহানা সোমার নেতৃত্বে এক-দেড় শ লোক দা, লাঠি, বাঁশসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়ি দখল করে।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছন্দা বলেন, ‘ক্রয়সূত্রে আমার বাবা এই জমির মালিক। এই বাড়িতে আমরা ২৭ বছর ধরে বসবাস করছি। বাবা ইজতেমায় গেলে বাড়িতে আমি একাই ছিলাম। ফারহানা সোমার উপস্থিতিতে তার লোকজন আমাকে মারধর করে বাড়ি দখল করে নেয়। আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে।’
এ বিষয়ে ফারহানা সোমা মোবাইল ফোনে বলেন, ‘সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশের কোনো চিঠি আমি পাইনি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, সেসব সঠিক নয়। সেখানে আমি জমি দখল করতে যাইনি। সেটা আমার বড় বোনের বাড়ি। মারামারির খবর শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম।’