ময়মনসিংহ: নগরীর চরপাড়া কপিক্ষেত এলাকায় সানজিদা আক্তার রেমি (১৮) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
সানজিদার বাবা এমদাদ অভিযোগ করে বলেন, যৌতুকের জন্য মেয়েকে হত্যা করেছেন তাঁর স্বামী। স্বামীর নির্যাতনে তাঁর নাক ও মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। ঘটনার পর থেকে সানজিদার স্বামী শুভ ও তার পরিবারের লোকজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অচেতন অবস্থায় সানজিদাকে রাত ৩টার দিকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সানজিদার চাচা বলেন, এক বছর আগে সানজিদার সঙ্গে চরপাড়া এলাকার ইলেক্ট্রিশিয়ান শুভর বিয়ে হয়। শুভ কিছুদিন পরপর বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য বলতেন। টানা না পেলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলতো। আজ ভোরে সানজিদার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাদের খবর দেন যে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে ভাতিজিকে খুঁজতে থাকি। পরে জানতে পারি সানজিদার লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
কোতয়ালি থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, সানজিদার বাবা এমদাদ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের পর সানজিদার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।