কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৭ জনের মধ্যে নান্দাইলের পাঁচজন রয়েছে। তাদের মধ্যে একই পরিবারের চারজন।
নিহতেরা হলো নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের বনাটী গ্রামের বাসিন্দা রইছ উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়া (৩৫), সুজন মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৩০), তাঁদের শিশুসন্তান সজীব মিয়া (৮) ও ইব্রাহীম মিয়া (৫)। অন্যদিক মুশুল্লি ইউনিয়নের মেরেঙ্গা গ্রামের জুনাইদের স্ত্রী জোসনা আক্তার (৩৫)।
সুজন মিয়ার পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, সুজন মিয়া ঢাকার মোহাম্মদপুর তাজমহল রোড এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। সেখানে আশপাশের এলাকায় ডাব বিক্রি করে পরিবারের চার সদস্য নিয়ে সংসার চালাতেন। গত বৃহস্পতিবার ভাতিজার বিয়ের অনুষ্ঠানে নিজ বাড়ি নান্দাইলে আসেন। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে গতকাল সোমবার পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় সপরিবারে নিহত হন। অন্যদিকে জোসনা আক্তার ট্রেনে ঢাকায় স্বামী জুনাইদের কাছে যাচ্ছিলেন। তিনি দুর্ঘটনায় নিহত হন।
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এগারসিন্দুর ট্রেনের সঙ্গে কনটেইনারবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১০০ জন। গতকাল বিকেল পৌনে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।