হোম > সারা দেশ > ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির পথে। বন্যার ষষ্ঠ দিনে আজ বুধবার ভোরে মানুষের ঘরবাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। আর বৃষ্টি না হলে পানি নেমে যেতে আরও দু-এক দিন লাগবে। বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী না পৌঁছানোর অভিযোগ অনেকের।

এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, তিন উপজেলায় নগদ ৭ লাখ টাকা ও ৬৩ মেট্রিক টন চাল বিতরণের কার্যক্রম চলছে। তা ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ত্রাণসহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

এবারের বন্যায় ফুলপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে পানিবন্দী হয়ে পড়ে অন্তত ২৪ হাজার মানুষ। আজ বুধবার সকালে সিংহেশ্বর ইউনিয়নের ভাটপাড় ও সিংহেশ্বর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় পানি কমছে। মানুষের ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে যাওয়ার বিষয়টা ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।

ভাটপাড় গ্রামের আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘বাড়ির উঠানে এখনো কোমরপানি। তাই ছাগলটি অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছি। আজ সকাল থেকে পানি কমছে। কয়েক দিন দুর্ভোগে থাকলেও কেউ কোনো সহযোগিতা করেনি।’

একই গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৮৩ সালের পর এবারের বন্যা সবচেয়ে বড়। আমার ৯০ কাঠা জমির ধান তলিয়ে আছে পানিতে। কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছি না। আমার মতো হাজারো কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত। সরকার সহযোগিতা না করলে ঘুরে দাঁড়ানো মুশকিল হবে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা ত্রাণ সহায়তা করলেও প্রশাসনের কেউ আসেনি।’

সিংহেশ্বর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নয়ছুদ্দিন আকন্দ বলেন, ‘মানুষের স্বপ্ন পানিতে ভেসে গেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভোগ আরও বাড়বে। এরশাদের সময় বাংলাদেশে বন্যা হয়েছিল। তখন ব্রিটেনের রাজা-রানি এসেছিলেন সহায়তা নিয়ে। এখন আর এমনটি হয় না। আমরা চাই, অন্তত আমাদের সরকার সহযোগিতা করুক।’

হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল গ্রামের হাসিনা বানু বলেন, ‘মানুষের বাসায় কাজ করে আমার দিন চলত। বন্যার কারণে এখন কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই বেলা ঠিকমতো খেতেও পারছি না। কারও কাছ থেকে কোনো সহযোগিতাও পাচ্ছি না। ত্রাণসামগ্রী আমাদের খুব প্রয়োজন।’

ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন, আজ বুধবার সকাল থেকে ফুলপুরের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। মানুষের বাড়িঘরের পানি নামতে শুরু করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাদুর্গতদের সহযোগিতা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। 

ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন বলেন, ‘আজ নতুন করে কোনো গ্রাম প্লাবিত হয়নি। বিপরীতে পানি কমতে শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে, পানি কমে যাবে। আমাদের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন বানভাসিদের মধ্যে শুকনো খাবার, ওষুধ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে।’

হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল আহমেদ বলেন, ‘উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে হালুয়াঘাটে বন্যার সৃষ্টি হয়। উজানের পানি কমে এখন নিম্নাঞ্চলে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমতে শুরু করায় মানুষের মধ্যে স্বস্তি আসতে শুরু করেছে। হালুয়াঘাটে ১৮ হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাময়িকভাবে তাদের সহযোগিতা করার পাশাপাশি ক্ষতি নিরূপণ করে সামগ্রিক সহযোগিতা করতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ বুধবার রাতে বৃষ্টি না হওয়ায় ভোর থেকে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। বাড়িঘরের পানি ইতিমধ্যে নামতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হলে দু-এক দিনের মধ্যে পানি নেমে যাবে।

ময়মনসিংহে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

বকশীগঞ্জে বিয়ের ১৮ দিনের মাথায় নববধূর লাশ, শাশুড়ি আটক

ময়মনসিংহে ৩৬ থানা–পুলিশের কার্যক্রম সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং

বাবরকে বরণে তোরণ-ফেস্টুনে সেজেছে হাওরাঞ্চল

তাবলিগ জামাতের সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের ৩ প্রস্তাব

জামালপুরে আইনজীবীর জামিন নামঞ্জুর, আদালত প্রাঙ্গণে হট্টগোল

ময়মনসিংহে মাজার ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দাবি

ভালুকায় শিশুর গলায় ‘দা’ ঠেকিয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

ময়মনসিংহের কালু শাহ মাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি

নান্দাইলে খেলতে গিয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

সেকশন