যৌন হয়রানির দায়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দুই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তৃতীয় দিনে গড়াল। আজ বুধবার সকালে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল সংগঠনের সমন্বিত উদ্যোগে বিবিএ অনুষদ ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে অভিযুক্ত শিক্ষক সাজন সাহা এবং বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে দ্রুতবিচার করে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
এ সময় ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন থাকবে জানিয়ে বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তা ছাড়া আন্দোলনকারীরা বিভাগের নামফলক কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া, শিক্ষার্থী হেনস্তার প্রতিবাদে বিভাগীয় প্রধানকে অবরুদ্ধ করা এবং পুড়িয়ে ফেলা হয় নামফলক। এ সময় বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষককে দীর্ঘক্ষণ অফিসে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
পরে যৌন হয়রানির ঘটনায় আশ্রয়দাতা হিসেবে অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে অবিলম্বে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে লিখিত আবেদন করেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় ৭টায় মোমবাতি প্রজ্বলন ও মৌন মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ছাত্রীকে মধ্যরাতে চা পানের নিমন্ত্রণ, অঙ্ক বোঝাতে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকা, শাড়ি পরে দেখা করতে বলা, ইনবক্সে ছাত্রীর ছবি চাওয়া, মেসেঞ্জারে অন্তরঙ্গ ভিডিও লিংক শেয়ার করার মতো নানা অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।